ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সুখের সংসার, তিন সন্তান, নিউ ইয়র্কে বিলসাবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, পেশায় সুখ্যাতি...নিখুঁত ছিল সাইমন গ্রিনের জীবন। কিন্তু তারপরই এক ঝটকায় এলোমেলো হয়ে গেল তার জগৎসংসার। প্রেমিকের খপ্পরে পড়ে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ল তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে পেইজ। বার বার চেষ্টা করেও ছাড়াতে পারেনি মেয়ের আসক্তি। অবশেষে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেল পেইজ। মেয়ের খোঁজে দিশেহারা সাইমন। ছয় মাস অবিশ্রান্ত খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে সেন্ট্রাল পার্কে পেইজকে পেল সে—নেশায় ঢুলু-ঢুলু, গান গেয়ে ভিক্ষা করছে। কিন্তু বাবা তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যে এগোতেই পালাল সে। কিন্তু সাইমন নাছোড়বান্দা—মেয়েকে সে ফেরাবেই এই পঙ্কিল জগত থেকে। শুরু হলো এক অন্ধকার সুড়ঙ্গে, ড্রাগের বিপজ্জনক দুনিয়ায় তার বিরামহীন ছুটাছুটি। পরিবারের জীবন বিপন্ন করেও অজানা-অচেনা এ জগতে ঢুঁড়ে বেড়াতে লাগল সে। এ জগত শাসন করে গুন্ডারা, এখানে ড্রাগই টাকা, এবং খুনখারাবি এখানকার নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। এরপরই সাইমনের দেখা হলো প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর ইলেনা রেমিরেজের সাথে। এক যুবকের নিখোঁজ-রহস্যের তদন্ত করছে ইলেনা। দুজনে মিলে এক কাল্ট আবিষ্কার করল তারা—ট্রুথ হেইভেন। একের পর এক বেরিয়ে আসতে লাগল অনেকগুলো অপ্রিয় সত্য। সাইমন কি আর কখনো তার মেয়েকে জীবিত দেখতে পাবে? মুখোশ খুলে দিতে পারবে ভণ্ড কাল্ট-নেতার? খুঁজে বের করতে পারবে তার মেয়ে কেন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ল, সে রহস্য?