সাজেদুল আউয়াল : তিতাসের তীরে জন্ম। আট বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে অভিনয়। পদ্মপুরাণ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শুনে; যাত্রা, সার্কাস, পুতুলনাচ দেখে বেড়ে ওঠেন। তেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র : সমাজবাস্তবতা ও নির্মাণভাবনা’-র জন্য পেয়েছেন ডক্টর অব ফিলসফি উপাধি (২০০৯)। মঞ্চের নেপথ্যকর্মী হিসেবে ঢাকা থিয়েটার-এ কাজ শুরু করেন ১৯৭৩ সালে। শহীদ আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যানিকেতন, সিনে আর্ট সার্কেল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ-এ (১৯৭৩-১৯৮১) কাজ করেছেন। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম-এর প্রতিষ্ঠাকালীন (১৯৮৬) সদস্য। বাংলা একাডেমি-র জীবনসদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর সদস্য। বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড (২০০৯-২০১০), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১২-এর জুরি বোর্ড, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই কমিটির সদস্য (২০১৩-২০১৫) ও ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ জার্নাল’-এর নির্বাহী সম্পাদক (২০০৮-২০১১ ও ২০১৪-২০১৫) হিসেবে কাজ করেছেন। নাটক রচনা : কাব্যনাটক ‘ফণিমনসা’ (রচনা - ১৯৭৯; প্রথম মঞ্চায়ন - ১৯৮০), ‘রাঙামিলার পাঙ্খাবিবি’ (১৯৮২), একক সংলাপভিত্তিক নাটক ‘জুম্মান জমাদার’ (১৯৯২), কাব্যনাটক ‘ছত্রিশ প্রহরের মাঠ’ (২০০৭)। অনুবাদ করেছেন ওলে সোয়িঙ্কার The Swamp Dwellers ‘এ্যালু মাকুরীকথা’ (১৯৭৭) নাম দিয়ে। মৌলিক গ্রন্থ : বাংলা নাটকে নারী-পুরুষ ও সমাজ (১৯৯৯), চলচ্চিত্রকলা (২০১০), চলচ্চিত্রকলার রূপ-রূপান্তর (২০১১), চলচ্চিত্রচর্যা (২০১৬), নাট্যকলা (২০১৭), নাট্যচর্যা (২০১৮)। সম্পাদিত গ্রন্থ : ঋত্বিকমঙ্গল (২০০১), সত্যজিতের স্রষ্টাবৃত্তি (২০১৩), বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ইতিবৃত্ত (২০১৪), মৃণালমানস (২০১৫), বঙ্গবন্ধুর বাণী (২০২০), তিতাসপুরাণ (২০২১), বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি-ভাবনা (২০২১), বাঙালির চলচ্চিত্রচিন্তা (১০ খণ্ড – প্রকাশিতব্য)। শিক্ষকতা : ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগ - স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই)। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : nirvana (১৯৯৯)। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : ছিটকিনি (২০১৭)।