বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শােষণমুক্ত সােনার বাংলার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, এবং তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন, তার কিছু ব্যাখ্যা থাকা দরকার। সে ব্যাখ্যার পরিণতিতে জন্ম নিলাে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও বাংলাদেশ' শীর্ষক গ্রন্থটি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন লুট-পাট, দুর্নীতির রাজনীতি বন্ধ করে শােষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। এটি করতে গিয়ে তাঁকে নানাবিধ বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি যেসব বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে বিষয়ে গ্রন্থে আলােকপাত করা হয়েছে। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে যে বাধা এবং সে বাধাকে অতিক্রম করে কীভাবে সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে শােষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা এই গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্ণনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা থেকে শুরু করে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭০-এর নির্বাচন, নির্বাচনােত্তর ঘটনাবলি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। একেকজন একেকভাবে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের’ ব্যাখ্যা করেছেন এবং আরাে করবেন নিশ্চয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি, কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের ‘যে কারণে ভাষণটি ঐতিহাসিক প্রবন্ধটি ৭ মার্চের ভাষণের যথার্থ ব্যাখ্যা হিসেবে গ্রন্থে সংযুক্ত করা হয়েছে। যা নতুন প্রজন্মের পাঠকদের বঙ্গবন্ধুকে জানতে আগ্রহি করে তুলবে।