কাদিয়ানী মতবাদ একটি নতুন ধর্ম। একটি ভিন্ন ধর্ম। ইসলাম ধর্মের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কেবলই মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ইসলামের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। পৃথিবীতে অসংখ্য কাফের, মুশরিক আছে, অনেক ধর্ম আছে। তারা তাদের ধর্মকে ইসলাম বলে প্রচার করে না। কিন্তু কাদিয়ানীরা নিজেদের নতুন ধর্মের গায়ে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে দিয়ে সেটিকেই খাঁটি ইসলাম বলে প্রচার করছে। আর ইসলামের আসল অনুসারীদের বলছে কাফের। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিম্নে দেওয়া বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
বইটি সম্পর্কে বইটির অনুবাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার কিছু কথা -- ইসলাম আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত সত্য দীন। এই দীনের মৌলিক আকীদা বিশ্বাস ও বিধিবিধান কুরআন ও হাদীসের অকাট্য প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত। দৃঢ় ঈমানের অধিকারী ব্যক্তি এসব আকীদা বিশ্বাসে আপত্তি উত্থাপন দূরে থাক, কোনোরূপ সংশয় ও সন্দেহ পোষণ করতে পারে না। কিন্তু সন্দেহ ও সংশয় যেহেতু একটি মনোগত ব্যাধি, সেহেতু এই ব্যাধিতে যে কেউ যে কোনো সময়ে আক্রান্ত হতে পারে। অতীতের ন্যায় বর্তমানেও কিছু দুর্বল ঈমানের অধিকারী ব্যক্তি ইসলাম বিদ্বেষী অমুসলিমদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে কিংবা সংশয় নামক মনোগত ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে এসব আকীদা বিশ্বাসে ও বিধিবিধানে আপত্তি উত্থাপন করেছে এবং করছে। শতাধিক বৎসর পূর্বে হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. তাঁর যুগে উত্থাপিত সংশয় ও আপত্তির নিরসনে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। উর্দু ভাষায় রচিত পুস্তিকাটির নাম الانتباهات المفيدة عن الاشتباهات الجديدة । পুস্তিকাটি ক্ষুদ্র হলেও ফায়দার দিক থেকে বৃহৎ। পুস্তিকাটিতে তিনি বেশ কিছু মৌলিক নীতিমালা ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ ও উদাহরণসহ তুলে ধরেছেন। নীতিমালাগুলো প্রাচীন সংশয় ও আপত্তি নিরসনে যথেষ্ট তো বটেই, আধুনিক সংশয় ও আপত্তি খণ্ডনেও বহুলাংশে কার্যকর। হাঁ, বর্তমানকালের কিছু কিছু সংশয় ও আপত্তির চরিত্র ভিন্ন জাতের। সেগুলোর জবাব কী হবে তা নিয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবে আমার বিশ্বাস, ঐ নীতিমালা আমাদেরকে সেই ভাবনার পথও সহজ করে দেবে। এইসব বিবেচনা করে পুস্তিকাটিকে বাংলা ভাষায় ভাষান্তরিত করতে মনস্থ করি। বলতে দ্বিধা নেই যে, ভাষান্তর করতে যেয়ে নিজের ভাষা-দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশেষত পারিভাষিক কিছু শব্দের ভাষান্তরে। সে ক্ষেত্রে পুস্তিকাটির ইংরেজী ভার্সন থেকে বেশ সহায়তা গ্রহণ করেছি। তারপরও ভুলভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি সেসব ভুল ভ্রান্তি সম্পর্কে আমাকে অবগত করলে কৃতজ্ঞ থাকব। কলেজ, ভার্সিটি ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন থাকবে, তাঁরা যেন পুস্তিকাটিকে আগাগোড়া গভীর মনোনিবেশ সহকারে পাঠ করেন এবং মূলনীতিগুলো মুখস্থ করে নেন। গভীর মনোনিবেশ নিরস ও দুর্বোধ্য বিষয়কেও সরস ও সহজবোধ্য করে দেয়। সর্বস্তরের পাঠকবৃন্দের নিকট আরজ করছি তাঁরা যেন তাঁদের দুআয় আমাকেও স্মরণ করেন। তাঁদের জন্য অধমের দুআ থাকবে, আল্লাহ যেন তাঁদেরকে সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দান করেন, দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে। আমীন।