"হোয়াই উই ওয়ান্ট ইউ টু বি রিচ" বইটির লেখকের কথা থেকে নেয়াঃ সত্যি হয়েছে ধারণা তিনটি পয়েন্ট নিয়ে আমি কথা বলতে চাই। এই তিনটি পয়েন্ট দিয়েই বােঝা যাবে ২০০৬ সালে প্রথম প্রকাশের পরের সময়কালের চেয়ে কেন আজকের দিনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এই ‘হােয়াই উই ওয়ান্ট ইউ টু বি রিচ' বইটি। পয়েন্ট # ১ ডােনাল্ড ট্রাম্প আর আমি প্রথম একসাথে কাজ করতে শুরু করি ২০০৪ থেকে। দেখলাম, আমাদের চিন্তা বা উদ্বেগগুলাে প্রবাহিত একই ধারায়। একই চিন্তা বা উদ্বেগের প্রতিফলন হিসেবেই জন্ম এই বইয়ের। উদ্বেগের কয়েকটি হলাে : ১. পড়তির দিকে থাকা মার্কিন ডলার এবং কেমন করে পড়তির দিকে থাকা ডলার নিশ্চিহ্ন করে দেবে সঞ্চয়কারীদের ও মধ্যবিত্তদের সম্পদকে। ২. তেলের মূল্য বৃদ্ধি। বিশ্বব্যাপী তেলের ব্যবহার বাড়লে বেড়ে যায় তেলের দামও। সবকিছুকেই প্রভাবিত করে তেলের দাম। যেটার অর্থ হলাে এর সাথে সাথে দাম বেড়ে যাবে সবকিছুর। আবার, এটি প্রভাবিত করে সঞ্চয়কারী আর মধ্যবিত্ত শ্রেণিকেও। ৩. অতিরিক্ত ঋণ। কেবল ভােক্তারাই ঋণে নেই, তা আছে আমেরিকান সরকারও। সাব-প্রাইম ঋণ দুর্যোগের পতন থেকে কেবলই বের হয়েছে দুনিয়া। ৪. ৪০১ (কে) পরিকল্পনা আর মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলাে ঝাঁঝরা করে ফেলছে তাদের বিনিয়ােগকারীদের। এই বই প্রথম প্রকাশের অল্প কয়দিন পরেই আমাদের চিন্তাধারাকে সঠিক প্রমাণ করে একটা প্রতিবেদন লিখেছিল ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পয়েন্ট # 2 ‘হােয়াই উই ওয়ান্ট ইউ টু বি রিচ’ ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রকাশের পর বইটির কঠোর সমালােচনায় মেতে উঠেছিল অনেক লােক। কেন ওইসকল লােক পুরাে দৃশ্যপটটা দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে, বইটির এই সংস্করণে খােলাসা করা হয়েছে সেই বিষয়গুলাে। পয়েন্ট # ৩ শিক্ষক হিসেবে একসাথে যুক্ত হয়েছি ডােনাল্ড আর আমি...আমাদের দুজনের ধনী পিতাই ছিলেন আমাদের শিক্ষক। আর্থিক শিক্ষায় বিশ্বাস করি বলে এই বইটি লিখেছি আমরা। আমাদের বিশ্বাস, আপনার ও আপনার অর্থের দেখভালের জন্য সরকার ও রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভর করার চেয়ে আপনাদের টাকা-পয়সা নিয়ে স্মার্ট ও ধনী হওয়ার এখনই সময়।