গল্পগুলো অন্যরকম জীবনকে তুলনা করা যায় নদীর সাথে। নদী যে মোহনায় থামে, সেখানেই জন্ম দেয় নতুন গল্পের। নদীর প্রতিটি কল্লোল যেন একেকটি গল্প। প্রতিটি বাঁক একেকটি উপাখ্যান। অথবা, জীবনকে আমরা একটি শ্রাবণমুখর সন্ধ্যাও বলতে পারি—যেখানে ঝুম-বৃষ্টির শব্দ শোনায় গল্পের মতো, ঝিরিঝিরি স্নিগ্ধ বাতাসকে গল্পের কাহিনির মতো লাগে জীবন্ত। জীবন কি তাহলে বয়ে চলা কোনো নদী কিংবা আকাশ ভেঙে ঝরঝর করে নেমে আসা কোনো শ্রাবণ-দিনের বৃষ্টি? জীবন কি নিছক উথাল-পাতাল কোনো তরঙ্গের ভেলকি কিংবা গা শীতল করা কোনো স্নিগ্ধ বাতাসের সুর? না। জীবন এর চেয়েও বেশিকিছু। জীবন এর চেয়েও বেশি দুরন্ত, বেশি চঞ্চল আর বেশি আকস্মিক। জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে জীবন রূপকথার চেয়েও বেশি অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে। জীবনের বাঁকে বাঁকে, মোড়ে মোড়ে, ঘটনা-প্রতি-ঘটনায় জন্ম নেয় হৃদয়ের আকুতি-মিনতি, প্রেম-ভালোবাসা, সুখ আর দুঃখ। এজন্যেই জীবন দুরন্ত, দুর্বিনীত ও চঞ্চল। এজন্যেই জীবন অন্যরকম। সেই অন্যরকম জীবনে জন্ম নেওয়া একগুচ্ছ গল্প দিয়েই সাজানো ‘গল্পগুলো অন্যরকম’ বইটি... 'নিশীথরাতের বাদলধারা' বইয়ে আছে চারটি বড় গল্প -অপেক্ষা -অনুর দিনলিপি -তখন অপরাজিতা -সাড়ে সাত দিন জীবন গল্প-২ ২০০৮ সাল, ২১ নভেম্বর। বিক্রমপুর থেকে শপিং করার কথা বলে বউ রুমাকে ঢাকা ডেকে আনি, উঠি একটি আবাসিক হােটেলে। রুমার সাথে ছােট মেয়েটিও আসে, যার বয়স মাত্র দুই বছর। আর বড় ছেলের বয়স পাঁচ, যাকে ওর নানুর কাছে রেখে এসেছে রুমা। বউয়ের সাথে আমার তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে। আমার রাগ খুব চরম পর্যায়ে পৌঁছালে, আমার কাছে থাকা চায়না চাকু দিয়ে বউয়ের গলায় পরপর দুইটি পােচ দেই। বউয়ের গলা দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে ও...
আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।