লেখকের আসলে তিনটে জিনিসের দরকার: এক্সপেরিয়েন্স, অবজারভেশন এবং কল্পনা। এইগুলাের মধ্যে মাত্র দুইটা থাকলে বাকিটার কাজ চইলা যাইতে পারে। আবার কখনও কখনও একটা থাকলেও অন্য দুইটার কাজ চালায়ে নেওয়া যাইতে পারে।... গল্প লেখার কাজ হইলাে কোনাে ঘটনা যখন ঘটে সেই সময় পর্যন্ত কাজ করা; তার সাথে থাকে কেন ঘটল, পরে কী হইতে পারতাে-এইসব। লেখকের চেষ্টা থাকে তার সাধ্যমতাে সবচে ভালাে উপায়ে বিশ্বাসযােগ্য চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্বাসযােগ্য চরিত্র তৈয়ার করা।... আমি বলব, কোনাে কিছু প্রকাশ করার সবচেয়ে সােজা উপায় হলাে মিউজিক। কারণ মানুষের ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতায় মিউজিকই আগে আইছে। কিন্তু আমার মেধা যেহেতু কথা , আমি কথাই ইউজ করব।... মিউজিকে সহজভাবে এবং সুন্দরভাবে প্রকাশ করা গেলেও আমি কথা ইউজ করি; কেননা আমি শােনার চাইতে পড়তেই বেশি পছন্দ করি। আমি শব্দের চাইতে নীরবতা বেশি পছন্দ করি। আর কথার চিত্রকল্প তৈরি হয় নীরবতার ভিত্রেই।...
...জীবন গুড এবং ইভিলের প্রতি উৎসাহি না। দোন কিহােতে সব সময় গুড এবং ইভিলের মধ্যে একটাকে বাছাই করবার চেষ্টা করত এবং তারপর সে স্বপ্নের মধ্যেও এইরকম বাছাই করা শুরু করল। সে তাে ছিল পাগল। সে বাস্তবে প্রবেশ করত যখন তাকে অন্যদের সাথে তাল মিলায়া চলতে হইতাে; খুব বেশি তাড়াহুড়ার কারণে সে গুড ও ইভিলের পার্থক্য করতে পারত না। মানুষের অস্তিত্ব যেহেতু জীবনের মধ্যে, মানুষকে সময় দিতে হইবে জীবিত থাকার জন্যই। জীবন হইলাে চলতে-থাকা; আর যেই শক্তি মানুষকে চালায়া বেড়ায় চলমানতা সেই শক্তির সাথেই সংশ্লিষ্ট।... নৈতিকতাকে যদি মানুষ সময় দিতে চায় তাইলে চলতে-থাকা’র কাছ থিকা সেই সময়টুক ছিনায়ে নিতে হয় মানুষকে। আবার সেই চলতে-থাকার একটা অংশ মানুষ নিজেও। আগে হােক পওে হােক গুড-ইভিলের মাঝ থিকা একটাকে বাইছা নিতে হয় তাকে;... দেবতাদের কাছ থিকা স্বপ্ন দেখার অধিকার পাওয়ার জন্য মানুষ তাদের কাছ থিকা নৈতিক বিবেককে গ্রহণ করতে বাধ্য হইছে। দেবতারা মানুষকে এই বিবেক দিছে অভিশাপ হিসাবে।