"ইন এ রিলেশনশীপ" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ইন- এ- রিলেশনশীপ দুজন নর-নারীর রিলেশনশীপে থাকার গল্প ।। ছােটবেলা থেকেই ওরা একে অন্যের কাছে খােলা বইয়ের মত। তাবশীর আর ঈউশা ।। পরস্পরের শৈশবের বন্ধু, কৈশােরের উদ্দীপনা আর যৌবনের আকর্ষণ। বেড়ে উঠেছে পরষ্পরের পরিপূরক হয়ে। দুজনেরই ফেসবুক ইনফো-তে সবসময় লেখা থাকে "ইন এ রিলেশনশীপ"! পরিবার বা কলেজ সর্বত্র ওপেন সিক্রেটের মতােই ওদের সম্পর্কটা। একদিন কলেজেরই একটি রিলেশনশীপের মর্মান্তিক পরিণতি দেখে বান্ধবী তাবশীর মানসিকভাবে প্রচণ্ড হোঁচট খায়। রিলেশনশীপের দাবী নিয়ে 'মনে প্রশ্ন জাগে। বদলে যায় মানসিকতা। পরিবর্তিত চোখে তাবশীর উপলদ্ধি করে নতুন জীবনদর্শন। ছেলেটা তাবশীরের এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনা। ফলাফল ঝগড়া অতঃপর, বিচ্ছেদ। জীবনের একটি বাঁকে এসে ঈউশাও ঝাঁকি খাবার মতাে অনুভূতি হয়। বুঝতে শেখে নিজের ভুল। কিন্তু ততদিনে দুজনের মাঝে দাঁড়িয়ে গেছে বিবেকের দুর্ভেদ্য দেয়াল। উঠতি বয়সী এই দুই তরুন-তরণীর বিবেকের দংশন আর মানসিক টানাপােড়েনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে কাহিনী। ভুলগুলাে শুধরে নিয়ে পরিশােধিত জীবনে নতুন করে সাধ জাগে পরস্পরকে ফিরে পাবার। ততদিনে কঠোর বাস্তবতা ওদের চারদিকে শত নিয়মের বেড়া তুলে দিয়েছে। তাবশীরের বিয়ে চুড়ান্ত হয়ে যায়। ঈউশা তখন অনেক দুরে। যখন জানতে পারে তখন কিছু করার থাকে না। দ্বারস্থ হয় সকল অটুট রিলেশনশীপের স্রষ্টার কাছে। যিনি মানুষকে ছােট ছােট বন্ধনে বেঁধে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আর প্রতিটি বন্ধনকে আলাদা করে মানতে ও বুঝতে শিখিয়েছেন। নিজেদের গড়া ঠুনকো রিলেশনশীপ স্রষ্টার বেঁধে দেয়া। নিয়মতান্ত্রিক রিলেশনশীপের কাছে কতটা যে। 'তুচ্ছ তার উপলব্ধি জাগাতে পড়ুন, "ইন-এ- রিলেশনশীপ"!