"খোড়া ভৈরবীর মাঠ" বই এর ফ্ল্যাপের লেখা দুই অভিন্নহৃদয় বন্ধু ঘুরতে গেছিল পুরুলিয়াতে। অরণ্যের মনোরম পরিবেশে হঠাৎ করে কোন ভয়ঙ্কর অভিশাপের বিষাক্ত ছোবল আছড়ে পড়ল তাদের মধ্যে? কলেজ স্ট্রিটের সেই রিকশাওয়ালাই বা কে, যার গা থেকে উড়ে আসে ছাইয়ের কণা ? আজ থেকে দেড়শো বছর আগে সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় কী ঘটেছিল এখানে? ছাইয়ের শরীর খুঁড়েকে তুলে আনবে প্রতিষেধক রক্তকে বাঁচাবে অসুস্থ মেয়েটিকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে? ইতিহাস, রোমাঞ্চ, অলৌকিকের দুরন্ত মিশ্রণ কালিয়া মাসান। গ্রাম বাংলার আর পাঁচটা মন্দিরের মতোই এক ভৈরবী মন্দির। তফাতের মধ্যে দেবীমূর্তিটির পায়ের একটা আঙুল ভাঙা। খুঁতো হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ কারণে সেই মূর্তিই স্থাপন হয়েছিল। গ্রামের কল্যাণার্থে। হঠাৎ একদিন সেই প্রাচীন ভক্তি-বিশ্বাসের আশ্রয়স্থলে ঘনিয়ে এল অশনি সংকেত। কার রক্ত দেবীর গায়ে? কেন পরপর মারা পড়ছে গ্রামের বাসিন্দারা? রাতে ফেরার পথে পথিকদের উপর কিসের বিপদ ঘনিয়ে আসে এই মন্দির সংলগ্ন মাঠে? কে এই বিষস্ত-আঁচল অস্ত্রধারিণী — সে-ই কি পা টেনে টেনে হেঁটে ফিরছে শিকারের সন্ধানে ?... প্রতি পদে গায়ে কাঁটা দেওয়া রুদ্ধশ্বাস কাহিনি খোঁড়া ভৈরবীর মাঠ।
অভীক সরকার – জন্ম পয়লা জুন উনিশশো উনআশি। (১৮ জৈষ্ঠ, ১৩৮৬ বঙ্গাব্দ), ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে। বেড়ে ওঠা প্রাচীন শহর কলকাতার অলিগলিতে। বাবা : অমল কুমার, মা : তপতী। খড়গপুর আই আই টি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও আই আই এম কলকাতা থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই ইত্যাদি বিভিন্ন শহরে জীবন কাটিয়ে আপাতত কলকাতায় থিতু। একটি বহুজাতিক কোম্পানির উচ্চপদে কর্মরত। লেখালেখির শুরু ২০১৫ সাল। নাগাদ। লিখেছেন বিভিন্ন ব্লগ ও ম্যাগাজিনে। প্রকাশিত রম্যরচনামূলক বইটির নাম মার্কেট ভিজিট। বিবাহিত, আট বছরের কন্যাসন্তান বর্তমান। ভালবাসেন ইলিশ, ইস্টবেঙ্গল, ইয়ারবন্ধু ও ইতিহাস। ভালো স্কচ ছাড়া কোনও দুর্বলতা নেই।