আল কুরআন বুঝে পড়ার গুরুত্ব আল কুরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত এবং চূড়ান্ত পথনির্দেশনা। এ কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তেলাওয়াতের পাশাপাশি অর্থ ও মর্ম অনুধাবন করে সঠিক পথের দিশা পাওয়ার জন্য। কুরআন বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত একমাত্র কিতাব; আবার অর্থ না বুঝে পঠিত বইয়ের তালিকায়ও এটি এক নাম্বারে। আলহামদুলিল্লাহ, পরম করুণাময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা, অর্থ না বুঝে পড়লেও এই কিতাব পড়ার পুরস্কার থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করেন না। কিন্তু অর্থ বুঝে কুরআন পড়া আর না বুঝে পড়া কি সমান হতে পারে? তেলাওয়াত হলাে কুরআনের অন্তর্নিহিত অর্থ ও বার্তা অনুধাবন এবং বাস্তবায়নের একটি মাধ্যম। তাই, তেলাওয়াত হতে হবে কুরআনের মর্ম বুঝে আমল করার জন্য। শুধু তেলাওয়াত করলেও সওয়াব হয়, এটা কুরআনের অসাধারণ ক্ষমতা (Extraordinary power) ও বরকতের কারণে। অর্থ না-বুঝে শুধু তেলাওয়াতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্যের বিপরীত। কেননা লক্ষ্য স্থির করে না-বুঝে পড়ার জন্য কুরআন অবতীর্ণ হয়নি। কুরআন নাযিলের প্রধান উদ্দ্যেশই হলাে মানুষের কাছে আল্লাহর বার্তা (Message) পৌঁছানাে। মানুষের কর্তব্য হলাে বার্তাগুলাে পড়ে, অনুধাবন করে তার আলােকে আল্লাহর দাসত্ব করা। আমাদের সমাজে কুরআন না বুঝে পড়ার চিত্রটাই প্রকট। আর তাই, আল্লাহ তা'আলার আদেশ-নিষেধ, উপদেশগুলাে লক্ষ কোটি পাঠকের কাছে কুরআন পড়ার পরেও না পড়ার মত অজানাই থেকে যায়। ফলে, তারা কুরআন থেকে কোন শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেনা। কুরআন মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে না। হৃদয়-মন কুরআনের আলােয় আলােড়িত ও উজ্জীবিত হয়না। এ জন্যই আল্লাহ তা'আলা কুরআন বুঝে পাঠ করার উপর গুরুত্ব আরােপ করেছেন এবং কুরআন নিয়ে যারা ভাবেনা, চিন্তা গবেষণা করে না, তাদেরকে তিরস্কার করেছেন।
আমাদের উচিত তেলাওয়াতের পাশাপাশি কুরআন বুঝে পাঠ করা । আশাকরি ত্রুটিমুক্ত ঈমান, জাগ্রত বিবেক ও খােলা মনে বইটি পড়লে পাঠকদের চিন্তার জগতে একটু হলেও নাড়া দিবে এবং আল কুরআন বুঝে পড়তে অনুপ্রেরণা যােগাবে।