"সন্তান আল্লাহর ওলী হয় কিভাবে" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাচ্চাদের অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে রাখাে। সব সময় খেয়াল রেখাে, তার তবিয়ত যেন অন্য কোনাে দিকে আকৃষ্ট না হয়। জিদ ধরলে তার সামনে নতি স্বীকার করাে না। আর চাইবার আগেই তার ইচ্ছা পূরণ করে দাও, যাতে তার ভেতর জিদ সৃষ্টি না হয়। তার সঙ্গে আচরণে-পরিস্থিতির দিকে এতটা খেয়াল রাখবে, যাতে তােমার থেকে নির্ভয় না হয়ে যায়। তােমার ইশারাই যেন যথেষ্ট হয়। খুব বেশি মারধাের করবে না কিংবা বকবে না। এতে সে বেহায়া হয়ে যাবে। ব্যস! ইশারা-ইঙ্গিতের সাহায্য গ্রহণ করাে। সব সময় বাঁকা কথা বলাে না। ছােটখাটো দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে তাকে বুঝিয়ে বলাে। (এটা করতে নেই কিংবা এ ধরনের বলতে নেই।) ক্রোধান্বিত অবস্থায় এমন বাজে ও বেহুদা কথা বলাে না, যাতে সারা জীবন তােমাকে পস্তাতে হয়। তার কথা শুনে কিংবা তার পক্ষ হয়ে কাউকে গাল-মন্দ করাে না। শিশুকে প্রহার করার পরক্ষণেই হাসবে না এবং তার সঙ্গে খুব বেশি খােলামেলাভাবে আচরণ করাে না। এতে তােমার প্রতি তার যে গুরুত্ববােধ ও সভ্ৰমবােধ ছিল তা উঠে যাবে। তুমি যে তাকে ভালােবাস তা তাকে বুঝাও, কিন্তু তুমি যে তার প্রতি দুর্বল তা তার সামনে প্রকাশ করাে না। সমস্ত ছেলে-মেয়েকেই এক নজর ও এক দৃষ্টিতে দেখবে। একের ওপর অন্যকে অগ্রাধিকার কিংবা প্রাধান্য দেবে না। এতে প্রাধান্যপ্রাপ্ত শিশুটি অন্যদের ছােট ও অবজ্ঞা করতে শিখবে। বাচ্চারা যা চাইবে তাই পূরণ করা বড় রকমের ভুল। একে ভালােবাসা বলে না, বরং এ শত্রুতারই নামান্তর। -খায়রুন্নেসা আবুল হাসান আলী মিয়া নদভী রহ.-এর মাতা।
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।