"আলোর আঁধারে" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: একটি দেশ প্রকাশনা। গৃহে, প্রতিষ্ঠানে, অফিসে এমনকি যানবাহনেও যেন নারী নিরাপদ নয়। গৃহকর্মী থেকে মাঠকর্মী, সমাজসেবক থেকে শিক্ষক, অফিস সহায়ক থেকে অফিসার, মিডিয়া কর্মী থেকে মিডিয়া শিল্পী, হিন্দু থেকে বুদ্ধ, খ্রিষ্টান বা মুসলমান যেই হউক। কেন নারী নানান ভাবে নির্যাতনের শিকার। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত হঠাৎ করে পত্রিকায় ধর্ষণের খবর বেড়ে যায়। সম্ভবত এ সময়ে আমি পত্রিকা বেশি পড়েছি, সেজন্য আমার নজরে এসেছে। এতসব ধর্ষণের খবরে আমি বিচলিত হই। ফলে ভাবি যে আমার মত ক্ষুদ্র একজন মানুষের দ্বারা কী করা সম্ভব। ভেবে দেখলাম, আমি একটি পত্রিকায় কলাম লিখতে পারি, স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সচেতনামূলক সেমিনার করতে পারি, রাষ্ট্রের সাহায্য চাইতে পারি, একটি উপন্যাস লিখতে পারি। সাধারণত পত্রিকার কলাম মানুষ একদিনই পড়ার সুযােগ পায়। আবার সারা দেশে স্কুল-কলেজে গিয়ে প্রচার করা কষ্টকর ও ব্যয় সাপেক্ষ। আর রাষ্ট্রের কথা যদি বলি, তার সাহায্য চাওয়ার কিছু নেই। রাষ্ট্র নিজ আদর্শেই সেই দায়িত্ব পালন করে। বাকি থাকলাে উপন্যাসের বিষয় যা দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ কিনে পড়ে। এ ব্যাপারে আমার ছােট ভাই স্বরূপ সহকর্মী মেহেদী উল্লাহ, যিনি একজন তরুণ উদীয়মান খ্যাত পরিচিত লেখক, এর সাথে পরামর্শ করলে তিনি আমাকে একটি উপন্যাস রচনার সাহস যােগান। তাঁর সরল মন্তব্য, “আপনার লেখায় একটি আলাদা ভঙ্গি আছে। আপনি পারবেন। তাই বলে নারী নির্যাতনের মতাে ব্যাপার নিয়ে লেখা? এমন উপন্যাস মানুষ পড়বে? আমার মনে হলাে যে মানুষ পড়ার ক্ষেত্রে কষ্ট বা নির্যাতনের ঘটনা নয়, বিনােদনমূলক কিছু চায়। সে উপলব্ধি নিয়েই এ উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহকে সাজানাে হয়েছে। এ উপন্যাসে একটি মেয়ের পুরাে জীবনকালকে গল্প ছলে হাসিঠাট্টার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে আশেপাশের মা বােনদের নিয়ত নির্যাতনের শিকারের ঘটনাগুলি নমুনা আকারে তুলে ধরা হয়েছে। অবতারণা করা হয়েছে একটি মধুর প্রেমের । কাজেই আশাকরি, সকলের কাছে এটি একটি মজার উপন্যাস হিসাবেই জায়গা পাবে।