"কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এবং অংশীদারিত্ব আইন, ১৯৩২" বইটির 'লেখকের অনুভূতি' নামক অংশের লেখাঃ আইন অঙ্গনের সবাই জানেন- কোম্পানী আইন খুব প্রয়ােজনীয় চর্চার বিষয়বস্তু। মূল আইনটি বাংলায় প্রণীত হয়, এবং এটিই সচারচার পাওয়া যায়। ইংরেজি আইনটি পাওয়া দুষ্কর। আবার, পার্টনারশিপ আইন বা অংশীদারিত্ব আইনটির ইংরেজি আছে, তবে বাংলা পাওয়া যায় না। এজন্য এই বইটি রচনা করার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য কাজ করেছে- ১) উভয় আইনের নির্ভুল, সহজ এবং গ্রহণযােগ্য অনুবাদ করা ২) উভয় আইনের হালনাগাদ সংশােধন এবং সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক নতুন মামলার অবতারণা সহ এক মলাটের নীচে আইনদ্বয়কে রাখা। উদ্দেশ্যদ্বয় পূর্ণ হয়েছে। সূচিপত্র বিশেষ যত্নে করা হয়েছে, প্রতিটি ধারার শিরােনাম সহ পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, উভয় আইনের গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়ােগিক, পদ্ধতিগত অনেক নমুনা, যেমন- সংঘবিধি, সংঘস্মারক, অংশিদারিত্ব চুক্তিনামা, কোম্পানী নিবন্ধন সনদ, আইন সংশােধনী গেজেট ইত্যাদি এই বইয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। আরেকটি উল্লেখযােগ্য বিষয় হল- হালনাগাদ মামলার নজীর সংশ্লিষ্ট ধারাগুলাের সাথে বিধৃত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত এবং দরকারী পাদটিকাও এই বইয়ে পাওয়া যাবে।
লেখক পরিচিতিঃ আইনজীবী এবং আইন গবেষক খাইরুল ইসলাম (তাজ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম সম্পন্ন করেছেন। ফলাফল ছিল প্রশংসাযোগ্য।
তিনি অদ্যবধি চারটি আইন গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন এবং যৌথ লেখক ছিলেন- হ্যান্ডবুক অন ল অফ ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (২০১৫), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও বিশেষ বিধান সমূহ (২০১৬), টেক্সট বুক অন পেনাল কোড (২০১৭), হ্যান্ডবুক অন রেজিস্ট্রেশন ল (২০১৮) লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দেশ বিদেশের প্রায় ২৫ টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। ৭৫ এর অধিক গবেষণামূলক আইন প্রবন্ধ লিখেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এর আইন পাতায়। যেমন- ডেইলি স্টার, ডেইলি অবজারভার, ডেইলি সান, ডেইলি ঢাকা ট্রিবিউন, ডেইলি বাংলাদেশ টুডে, ডেইলি পিপলস টাইম, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক ভোরের পাতা, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক ইত্তেফাক। আইন জার্নালে তার আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। কিছু টেলিভিশন টক-শোতে তিনি অংশ নিয়েছেন। যেমন- দেশ টিভির বদলে যাও বদলে দাও শীর্ষক নীতি-নির্ধারণী আলোচনা অনুষ্ঠান (বিষয়- উচ্চ আদালতে বাংলা চাই)। খাইরুল ইসলাম (তাজ) প্রায় ২৫০ টি দেশী-বিদেশী সেমিনার, কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে ব্রিটেন এর ডিউক অব এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। কনফারেন্সে যোগদানের জন্য বিদেশ ভ্রমণঃ কমনওয়েলথ ইয়ুথ ফোরাম (২০১৫)- মাল্টা (ফ্লোরিনা); ওয়ার্ল্ড কালচার ফোরাম (২০১৬)- ইন্দোনেশিয়া (বালি দ্বীপ); ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সাম্মিট (২০১৭)- ইন্দোনেশিয়া (পেকানবারু); ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এসডিজি (২০১৮)- নেপাল (কাঠমান্ডু); মালয়েশিয়া (কুয়ালালামপুর) উল্লেখযোগ্য। জন্মস্থান- তাজ ভিলা, মোহাম্মাদ পাড়া, গোপালগঞ্জ। শৈশবকাল- গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঢাকা। পিতা- রোটারিয়ান আলহাজ্জ আজগার আলী মোল্লা; মাতা- আলহাজ্জ খাদিজা পারভীন (পুষ্প) শিক্ষা-কালঃ প্রাথমিক- অনির্বাণ স্কুল, গোপালগঞ্জ; মাধ্যমিক- এস এম মডেল গভ: হাই স্কুল, গোপালগঞ্জ; এসএসসি- আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা; এইচএসসি- নটরডেম কলেজ, ঢাকা। [বোর্ডে ১ম স্থান]; বিএনসিসি ক্যাডেট- বিমান শাখা (ঢাবি কন্টিনজেন্ট)।