"উনিশ শতকে বাংলার সমাজ-চিন্তা ও সমাজ বিবর্তন ১৮১৮-১৮৩৫" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: ১৯৬৫ সালে নেদারল্যান্ডসের লীডেন থেকে প্রকাশিত হয়েছিলাে। অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমদের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সােশ্যাল আইডিয়াস অ্যান্ড সােশ্যাল চেঞ্জ ইন বেঙ্গল’। ইংরেজি ভাষায় এর কয়েকটি সংস্করণ প্রকাশিত হলেও বাংলায় এতােদিন বইটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়নি। সেই অভাব মােচনেই আই সি বি এস গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করলাে- উনিশ শতকে বাংলার সমাজ-চিন্তা ও সমাজ বিবর্তন ১৮১৮-১৮৩৫ নামে। বইটি অনুবাদ করেছেন যৌথভাবে লেখক স্বয়ং এবং প্রখ্যাত সাহিত্যিক বেলাল চৌধুরী ও সুব্রত বড়ুয়া। শুধু বাংলার নয়, ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসে উনিশ শতক ছিল নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে পরিপ্রেক্ষিতে উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার ফলে যে বহুমুখী বিবর্তনের সূচনা হয়েছিলাে সে সব বিষয় আলােচিত হয়েছে এ গ্রন্থে। বইয়ের পরিচ্ছেদগুলির শিরােনাম তুলে ধরে লেখক কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব আরােপ করতে চেয়েছেন। পরিচ্ছেদগুলি হলাে- বাংলার সমাজ ও পাশ্চাত্যের প্রভাব, রক্ষণশীলতা ও সংস্কারবাদ, বাংলার সংবাদপত্র, সরকার ও জনমত : সমাজ ও শিক্ষানীতির প্রতিক্রিয়া। অধ্যাপক আহমদের আলােচিত সময়ের মধ্যে হিন্দু সমাজে সংস্কার আন্দোলনের প্রথম এবং বলা যেতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “এদেশের শিক্ষা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার কাঠামাে বেশ কিছুটা নির্মিত হয়েছে। নতুন আইন ব্যবস্থার ভিত্তিও রচিত হয়েছে। ব্যাপক আকারে আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থার সূত্রপাত হয়েছে। পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি হিন্দু ও মুসলমান, এই দুই সম্প্রদায়ের ভিন্নতর প্রতিক্রিয়ার ফলে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের উন্মেষও ঘটেছিল এই সময়েই। এবং পরিশেষে বাংলার সংবাদপত্রসমূহে এদেশের বিভিন্ন শ্রেণীর জনগণের চিন্তা-চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়ে শুরু করেছিল ।” এ সব কিছুরই বিস্তারিত বিবরণ আছে এই গ্রন্থে।
Title
উনিশ শতকে বাংলার সমাজ-চিন্তা ও সমাজ বিবর্তন ১৮১৮-১৮৩৫