"রাজপথ থেকে রণাঙ্গনে" বইটির প্রসঙ্গকথা থেকে নেয়াঃ আত্মীয়তার সুবাদে মহীউদ্দিন আহমেদকে শৈশব থেকেই দেখছি। দেখছি এখনাে। সহজ-সরল একজন মানুষ। মানুষের জন্যে কাজ করতে ভালােবাসেন। এ শিক্ষা পেয়েছেন পরিবার থেকে বিশেষ করে রাজনীতিবিদ বাবাকে দেখে। ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও একাত্তরকে ধারণ করে আছেন। অনেকদিন ধরেই অনুরােধ করছিলাম আত্মজীবনী লিখতে। না পারলে অন্তত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেন কিছু লিখেন। কথা দিয়েছিলাম, লেখার ব্যাপারে সহযােগিতা করবাে। অনুরােধ রেখেছেন তিনি। লিখেছেন মূলত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা। তবে প্রসঙ্গক্রমে এসে গেছে একাত্তরপূর্ব সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, যা থেকে পাকিস্তান আমল সম্পর্কে মােটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। তাকে পাওয়া যায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ভাটির জনপদে একজন সামনের সারির ছাত্রনেতা রূপে। তার বাবার কথাও তুলে এনেছেন। এতে নতুন প্রজন্ম একজন সার্থক পূর্বপুরুষের কথা জানতে পারবে। বীর মুক্তিযােদ্ধা মহীউদ্দিন আহমেদের এই স্মৃতিকথাটি কিছুতেই পরিপূর্ণ বলা যাবে না। বলা যেতে পারে, সংক্ষিপ্তসার। তাই বইটি আকার-আকৃতিতে ছােট। তবে অন্যদের জন্যে অনুসরণীয়। বিশেষ করে জাতির অন্যান্য সূর্যসন্তানও যদি এভাবে নিজেদের একাত্তরকে তুলে ধরেন তাহলে নতুন প্রজন্ম। বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়টি নির্ভেজালরূপে পাবে একথা জোর দিয়েই বলা যায়।