"বেদ ও বিজ্ঞান" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বেদ অপৌরুষ ঈশ্বরের বাণী। মানব জীবনের এমন কোন বিষয় নাই বেদ যার উপরে আলােচনা করে নাই। জটিল জীবনের যে কোনাে সমস্যা সুচারু সম্পাদনে বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। বেদ শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুধ্যান হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত নয়। ইহা বিশ্বের সকল জ্ঞানের আধার। বেদ ও বিজ্ঞান দুটি শব্দ ওতােপ্রােতভাবে জড়িত। বেদ পড়লে মনে হবে যে কোনাে অচিন্ত্য বিজ্ঞানীর মতবাদ এখানে। বেদ না থাকলে হয়তাে বিজ্ঞানের অনেক তথ্যের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যেত না। বেদের তথ্যগুলােই গবেষণা করেই আজকের বিজ্ঞানের জয় যাত্রা ও অগ্রযাত্রা। সেই সত্যযুগ থেকেই মুনি ঋষিরা এই অমূল্য গ্রন্থ নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। বিশাল বেদগ্রন্থ এর অল্প কিছু অংশই কেবল মানুষ অনুধাবন করতে পারছে। সম্পুর্ন তথ্য গবেষণা করতে পারলে হয়তাে আরাে নতুন অনেক বিষয় জানতে পারতাে এবং পৃথিবী উপকৃত হতে পারতাে। পূবের সমাজব্যবস্থা থেকে বর্তমানের সমাজব্যবস্থা থেকে বর্তমানের সমাজ ব্যবস্থা অনেক প্রসস্ত। মানুষ চায় বৈজ্ঞানিক যুক্তি, তাই আমাদের বৈদিক ধর্ম টা কতটা বিজ্ঞান ভিত্তিক তারই চিন্তাশীল ধারণা ও মতবাদ প্রকাশ করার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আশা করি পাঠক অনেক সমস্যাই সমাধান করতে পারবেন এই পুস্তকটি থেকে।