একসময়ের হুমায়ূন ভক্ত অতি সাধারণ পাঠক, নতুন ঢাকায় আসা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র শাকুর মজিদ সাংবাদিকের ভান ধরে হুমায়ূন আহমেদের কাছে গিয়েছিলেন মূলত তাঁকে আরো বেশি করে জানতে, ১৯৮৬ সালে। সেই থেকে সূচনা হয় সম্পর্কের। এর পরে মাঝে মাঝে তাঁদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হতো, কিন্তু অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাই । এর প্রায় দুই যুগ পরে, ২০০৮ সালে শাকুর মজিদের লেখা একটি বই পড়ে হুমায়ূন আহমেদ তাঁকে বাসায় দাওয়াত দিলে সূচনা হয় আরেক পর্বের। অত্যন্ত ঘনিষ্টদের তালিকায় প্রায় অপরিহার্য হয়ে ওঠেন শাকুর মজিদ এবং এই ঘনিষ্টতা অব্যাহত থাকে ২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত। হুমায়ূন আহমদের স্মৃতিকথা লিখতে গিয়ে শাকুর মজিদ তার নিজেরও একসাথে বেড়ে ওঠার কাহিনী শুনিয়েছেন। এ নিয়ে ‘প্রথমা’ থেকে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদ, যে ছিলো এক মুগ্ধকর এবং ‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে-নুহাশপল্লীর এইসব দিনরাত্রি নামে দুটো বই ছাপা হয়। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুপরবর্তি নানা সময়ের খণ্ড খণ্ড যে ঘটনাগুলো বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল তা নিয়ে ‘গ্রন্থকুটির’ বের করেছিল অভিনেতা হুমায়ূন ও অন্যান্য। মূলত এই তিনটি বই পাঠকদেরকে এক মলাটে দেয়ার জন্য প্রকাশ হলো শাকুর মজিদের হুমায়ূননামা ট্রিলজি। -প্রকাশক
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণ-কাহিনি লিখেছেন অনেক। নাটকের সকল শাখায় তার বিচরণ। কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তাঁর লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তিনশতাধিক প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন। দেশ ভ্রমণ তার একটি বড় নেশা। ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।