বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী শাকুর মজিদ এক অনুকরণীয় চরিত্র। সিলেটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিয়েও কেবল নিজ মেধাগুণে দেশসেরা দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে জীবনে আজ সু-প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৮ সালে গ্রাম ছেড়ে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। সেখানে তাঁর প্রথম বছরটি ছিলো আধাসামরিক এই আবাসিক শিক্ষায়তনে সহপাঠি ও পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হবার সময়। এ নিয়ে লিখেছেন ক্লাস সেভেন ১৯৭৮। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ঘটনাপুঞ্জ এসেছে ক্যাডেটের ডায়েরিতে। ১৯৮৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক শেষে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থাপত্যে পড়াশুনার সময় দেশের বিরূপ রাজনৈতিক পরিবেশেও অর্থ উপার্জনের জন্য টিউশনির পাশাপাশি বেছে নেন সংবাদপত্রে লেখালেখি আর আলোকচিত্রণের পেশা। এই সংগ্রামী জীবনের কথা তিনি লিখেছিলেন তাঁর বুয়েটকাল গ্রন্থে। শাকুর মজিদ আজ দেশের নামকরা স্থপতি, বহু পরস্কারে ভূষিত লেখক, নাট্যকার, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। এটুকু হবার পেছনে তাঁর ছাত্র জীবনের যে ভূমিকা ছিলো তা নিয়ে যে তিনটি গ্রন্থ লিখেছিলেন তারই সংকলন এই ছাত্রকাল ট্রিলজি। যেকোন সৎ-সংগ্রামী-স্বপ্নবাজ তরুণ এই ত্রয়ীগ্রন্থ পড়ে জীবনকে নতুনভাবে গড়তে পারেন। -প্রকাশক
শাকুর মজিদ পেশায় স্থপতি, নেশায় লেখক-নাট্যকার-আলোকচিত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা। শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণ-কাহিনি লিখেছেন অনেক। নাটকের সকল শাখায় তার বিচরণ। কুড়ি বছর বয়সে সিলেট বেতারে তাঁর লেখা নাটক ‘যে যাহা করোরে বান্দা আপনার লাগিয়া’ প্রথম (১৯৮৫) প্রচার হয় । লন্ডনী কইন্যা, নাইওরী, বৈরাতী, করিমুন নেছা, চেরাগসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন-নাটক ও টেলিফিল্মের রচয়িতা তিনি। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে তিনশতাধিক প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন। দেশ ভ্রমণ তার একটি বড় নেশা। ত্রিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২, বেশীরভাগই ভ্রমণকাহিনি, স্মৃতিচারণ ও আত্মজৈবনিক গ্রন্থ।