“যে জীবন দোয়েলের" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ উত্তর-তিরিশে, জেরিন, “এক ধরণের পরাজয়” অনুভব করে। জেরিনের জীবনের ধ্রুবতারা, তার প্রেমিক নিঝর বিয়ের পরে তাকে সখী বলে ডাকে না বহুদিন। সে ব্যস্ত সফল সার্জন ডাক্তার, ক্যারিয়ারে সফল। আর তাকে ঘিরে আবর্তিত জেরিন কোথায়? বাবা-মায়ের মেধাবী সন্তান, সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম করা ছাত্রীটির ক্যারিয়ার গড়ার যাত্রা পেছাতে পেছাতে ভুলে যাওয়ার উপক্রম তার প্রেমিকের, স্বামীর। কেন এমন হয়! কোথায় যেন জেরিনের ভুল হলাে খুব। তাই জেরিন অতীতে-বর্তমানে হারিয়ে যেতে যেতে ভাবে, অনেক হেরেছি, আমাকে এইবার আমার চাওয়া-পাওয়ার খাতাটা মেলতেই হবে। এই অনুধাবন জেরিনকে পােড়ায়। সে শুরুতে এই আত্ন-আবিষ্কারে তার জীবন সাথীকে দেখাতে চায় তার পাশে। সেই মাতা প্রেমিককে খুঁজে বেড়ায়, যে ভুল করলেও অনুতপ্ত হয়ে ভালােবাসায় একচ্ছত্র হয়ে ভরিয়ে রাখতাে তার দিনগুলি। একা জেরিন খুঁজছে তার ভালােবাসাকে। নিঝরের ভালােবাসা কি ফুরিয়ে গিয়েছে! জেরিন ঠিক করলাে সে পারবে, প্রয়ােজনে একা হলেও সে পারবে, সে তার সিদ্ধান্ত নিজে নেবে, নিজের কথা নিজে বলবে, তার বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণ করবে। সে তাে আগে কখনই নিজের ইচ্ছেকে প্রকাশ করেনি। এবার, সভাবে নিজের চাওয়াকে বলার পরে- নিঝর জেরিনকে ভালােবাসে কিনা, তার কষ্ট বুঝবে কিনা, তাতে যখন কিছুই বদলায়না জেরিনের অটলতার... নিঝর এইবার পুনরাবিষ্কার করুক নিজেকে, তার স্ত্রীকে, তাদের ভালােবাসাকে। জেরিনের নিজেকে ভালােবাসার সূচনায় নিঝর তাকে ভালবাসবে এই কামনায় থাকি।
মৌলী, যার নামের অর্থ হলো পর্বতশীর্ষ বা পাহাড়ের চূড়া। জন্ম ১৯৮৬ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, বসবাস ঢাকায়। মা-বাবার প্রথম সন্তান, এক কন্যার জননী। পেশায় ডক্টর, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করে বর্তমানে শিশু মেডিসিন বিষয়ে এফসিপিএস কোর্সে অধ্যয়নরত। হলিক্রস স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। নেশা পড়া, উইপোকার মতো পুরির ঠোঙা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত সবই গোগ্রাসে গিলতে পছন্দ করেন। স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যমুক্ত পৃথিবীর, যেখানে নারী-পুরুষ এবং ধনী-গরীবের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।