বাস্তব জীবনমুখী, ঐতিহাসিক এবং স্মৃতিচারণমূলক রচনার সমাহার এই রকমারি রচনা সমগ্র। এখানে আলোচিত হয়েছে ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বৈশ্বিক ঐতিহাসিক-রাজনৈতিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাস, রাষ্ট্র ও যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়ে ২৪টি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১২টি, এবং স্মৃতিচারণামূলক ৫টি রচনা। দ্বিবলয়ে বিভক্ত অকার্যকর জাতিসংঘের অসাড় উপস্থিতির মধ্যে সারা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী মোড়লীপনা সর্বজনবিদিত। ক্ষমতাধর জাতিগুলোর কর্মকান্ড বিশ্বকে আরো বেশী বিশৃংখলা ও দ্ব›েদ্বর মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, সুশাসন ইত্যাদির মোড়কে সাম্রাজ্যবাদী থাবা যে সম্প্রসারিত তা বেশ কয়েকটি প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিভাজন প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। ইসলামোফোবিয়া বর্তমান বিশ্বে এমনকি বাংলাদেশেও প্রসার লাভ করেছে। নানা ভাবে, নানা আকারে মুসলমানদেরকে এর বলি হতে হচ্ছে। জাতিকে দেশহারা এবং নিজ বাসভূমে পরবাসী করার মার্কিনী সহযোগিতায় ইসরাইলী নিষ্ঠুর স্বেচ্ছাচরিতা মুসলিম বিশ্ব তথা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের মনে প্রতিনিয়ত ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও ইরাক হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী ছোবলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ২০০১-এর ৯/১১ ঘটনার পরে বিভিন্ন খোঁড়া ও অবাস্তব অজুহাত এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মুসলমানদের ভুমি ইরাকের মত সার্বভৌম দেশ নিজেদের কব্জায় নিলেও গণতন্ত্র বা মানবাধিকার লংঘনের বিষয় সেখানে উচ্চারিত হয়নি। ডিজিট্যাল যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসামান্য উন্নতি হলেও আচ করোনাযুগে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় - ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়’। স্মৃতি আলেখ্য আমাদেরকে সেই পুরানো দিনের কথা বিলক্ষণ মনে করে দিবে। সন্নিবেশিত প্রবন্ধগুলো বিভিন্ন সময়ের লেখা - ২০২০ সালের তিনটিসহ পূর্ববর্তী কয়েক বছরের মথ্যে অধিকাংশ প্রবন্ধ রচিত হয়েছে।