বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা জয়ন বাবু কান্না চোখে গাড়িতে উঠে গেলো । ড্রাইভার ধীরে ধীরে হাসপাতালের গেট থেকে গাড়িটা বের করছে। গাড়িটির পিছনে মাইক্রোবাস তাকে অনুসরণ করতে লাগলো। ফিরোজ গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো, সিটের মাঝখানে রাজিয়া বেগম বসে আছে। তার দুপাশে বসে আছে- উষা আর অপু। তিনি উষার কাঁধে মাথা রেখে কান্না করছেন। অপু তার মায়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে । ফিরোজ হাসপাতালের গেট থেকে রিকশা ঠিক করে বাসার দিকে রওনা দিলো । রিকশায় উঠে সে আকাশের দিকে তাকালো। কালো রাতের আকাশের আধার দেখে পবিত্র কুরআনুল কারীমের সেই আয়াতটি মনে পড়ে গেলো- “আল্লাহই তোমাদের জীবন দান করেছেন। তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। আবার তিনিই তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন। তারপরও মানুষ অতি-অকৃতজ্ঞ!' (সূরা হজ, আয়াত ৬৬) ফিরোজ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো, আসলেই আমরা অকৃতজ্ঞ । ফিরোজের মুখের কথা শুনে রিকশাওয়ালা মুখ ঘুরিয়ে বললো, ভাইজান কি কিছু বলছেন? না। কিছু বলছি না। অকৃতজ্ঞের বলার কিছু থাকে না। বুঝলাম না, ভাইজান। সব কিছু মানুষ বুঝতে পারে না। আবার যখন সে বোঝে তখন তার কিছু করার থাকে না। ততক্ষণে সে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যায়। ভাইজান, এগুলো কি বলেন? কিছুই তো বুঝি না। সামনের দিকে তাকিয়ে রিকশা চালাও । নাহলে পরে দুর্ঘটনা ঘটাবে। জি, ভাইজান। কালো রাতের আঁধারে রিকশাওয়ালা তার রিকশা টানছে। পাশ দিয়ে গাড়ি, মোটর সাইকেল সো সো করে চলে যাচ্ছে। রিকশাওয়ালা তার রিকশার বেল বাজাচ্ছে। টুং টাং। প্রচ্ছদ : মোহাম্মদ ফয়েজুর রহমান