সারসংক্ষেপ আল্লাহ তা‘য়ালা, মানবজাতির পিতা প্রথম মানুষ আদম আ., মানবজাতির মাতা হাওয়া আ., সকল মানবরূহ, ফেরেশতাকুল, সবচেয়ে বেশি ইবাদাতকারী জ্বিন এবং মানবজাতির শত্রু (ষড়যন্ত্রকারী) ইবলিস শয়তানের মধ্যকার কিছু সংলাপ কুরআনের বিভিন্ন সুরায় ছড়িয়ে আছে। সংলাপগুলো একত্র করলে এক অপূর্ব জীবন্তিকা রচিত হয়। জীবন্তিকাটি রচনা করেছেন স্বয়ং আল্লাহ ও মঞ্চায়িত হয়েছে শাহী দরবার ও জান্নাতে, মানুষকে দুনিয়ায় পাঠানোর পূর্বে। তাই, জীবন্তিকাটিতে সংলাপের মাধ্যমে যে তথ্যগুলো জানানো হয়েছে সেগুলো মানবসভ্যতার দুনিয়ার জীবনের ঘটনা-দুর্ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী বলা যায়। সহজে বোঝানোর জন্য তথ্যগুলো জীবন্তিকার সংলাপ আকারে মঞ্চায়ন করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সংলাপগুলো কেউ মালা না গাঁথায় বোঝা যায়নি যে, এটি এক অপূর্ব জীবন্তিকা। মানবজাতির দুনিয়ার জীবনের অনেক মৌলিক বিষয়, মূল ষড়যন্ত্র এবং তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ের তথ্য জীবন্তিকাটিতে আছে। আশাকরি এ জীবন্তিকার তথ্য মানবজাতি ও মুসলিমদের ব্যাপক উপকারে আসবে। আর এ তথ্য দিয়ে সত্যিকার কোনো জীবন্তিকা বা চলচ্চিত্র তৈরি করতে পারলে তা মানবজাতির জন্য মহা কল্যাণকর হবে, ইনশাআল্লাহ।
Title
গবেষণা সিরিজ- ৩৯ আসমানি গ্রন্থে উল্লিখিত মানবতাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের জীবন্তিকা
প্রফেসর ডা. মাে. মতিয়ার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে। নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষা জীবন আরম্ভ। ছয় বছর মাদ্রাসায় পড়ার পর তাঁকে ডুমুরিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে তিনি যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাইস্কুল ও সরকারী বি.এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে কৃতিত্বের সাথে এস. এস. সি. ও এইচ.এস.সি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে MBBS পাস করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ১০ম স্থান অধিকার করেন। MBBS পাস করে তিনি সরকারী চাকুরীতে যােগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে ইরাক সরকারের চাকুরী নিয়ে সেদেশে চলে যান। ৪ বছর ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চাকুরী করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগাে রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস থেকে জেনারেল সার্জারীতে FRCS ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে যােগদান করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রফেসর এবং সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ল্যাপারােসকোপ (Laparoscope) যন্ত্র দিয়ে একক হাতে। (Single Handed) পিত্তথলির পাথর (Gall Bladder Stone) অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সার্জন (surgeon)। প্রফেসর ডা. মাে. মতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দীর্ঘ দুই দশক ধরে কুরআন গবেষক হিসেবে মৌলিক কাজ করে আসছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হলাে- ইসলামের সে সকল মূল বিষয় যা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের জ্ঞান ও আমলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। ইতােমধ্যে তার লেখা ৩৯টি গবেষণাধর্মী পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এসব পুস্তিকায় তিনি মুসলিম সমাজে প্রচলিত জ্ঞানগত ভুল ধারণার সংস্কার করে কুরআন, সুন্নাহ ও Common sense -এর আলােকে ইসলামের সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য কাজ হলাে ‘আল কুরআন যুগের জ্ঞানের আলােকে অনুবাদ’। এ অনুবাদখানির সম্পাদনা পরিষদের নেতৃত্ব তিনি দিয়েছেন।