"কার্ল মার্কসের ক্যাপিটাল প্রাথমিক পাঠ-২য় খন্ড" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: ক্যাপিটাল গ্রন্থ পড়ার এই দীর্ঘ যাত্রায় আমরা ইতিমধ্যে প্রথম খণ্ডের ১০টা অধ্যায় পড়ার কাজ শেষ করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত পুঁজিপতি এবং শ্রমিক এই ধরনের শব্দ একবারও আমাদের কানে আসেনি। দ্বিতীয় খণ্ড থেকে এসব শব্দের মঞ্চে আগমন শুরু হয়। এই শব্দগুলাে যেসব চরিত্রকে সংজ্ঞায়িত করে সেসব চরিত্র’র প্রকৃত পরিচয় এবং এদের মধ্যেকার সম্পর্কগুলাে জানতে হলে ইতিমধ্যে আমরা ১০টা অধ্যায় পড়ার মধ্য দিয়ে যাকিছু জেনেছি সেইসব শিক্ষা আমাদের প্রয়ােজন হবে। ব্যবহার-মূল্য’, ‘বিনিময়-মূল্য, ‘উৎপাদনশীলতা’, ‘মূল্য রূপ’, ‘অর্থ’ ইত্যাদি প্রত্যয়গুলাে অর্থনীতি বিদ্যার মৌলিক ধারণা। এই সকল মৌলিক ধারণা আত্মস্থ করেই কেবলমাত্র আমরা। ‘পুঁজি’র প্রকৃত অর্থ কী তা জানতে পারব। মূল্য বলতে কী বােঝায়, অর্থ’ বলতেই-বা কী বুঝায় যতক্ষণ আমরা এসব না জানব ‘পুঁজি নিয়ে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা আমরা করতে পারব না। ‘পুঁজি’ কী সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মানেই হলাে ‘পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতি পরীক্ষা করা। অর্থাৎ, পুঁজিবাদী সমাজ’ পরীক্ষা করা। যখন এবং যে অবস্থায় আমরা পুঁজিবাদী সমাজ’ পরীক্ষা করতে যাই না কেন, মানব সভ্যতার অতীত সকল সমাজ অবশ্যই আমাদের পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়াও আমাদের তত্ত্বীয়ভাবে হলেও আগামী ‘নতুন সমাজের রূপ কেমন হবে সেটাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এর অর্থ হলাে, ‘পুঁজি’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা ‘মানব সমাজ বিকাশের বিবর্তন প্রক্রিয়া জানতে পারব। দ্বিতীয়। খণ্ডে পুঁজিবাদী উৎপাদন পদ্ধতিই বিশেষণ করা হয়েছে। আরএন তার অনন্য বিশেষণ ক্ষমতা দিয়ে বিষয়টাকে যুক্তির পর যুক্তির জাল বুনে এত প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেছেন, যা সত্যিই বিস্ময়কর।