"নির্বাসন" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ তেইশ বছরের তামান্না মেহবুব খান (টিউলিপ)। মেইলবর্ন ইউনিভার্সিটিতে স্থাপত্যকলায় দারুণ ফলাফল, শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনার ফার্মে চাকরি, আর যােগ্য বাগদত্তার সাথে জীবনের নতুন অধ্যায় অপেক্ষমান। ভবিষ্যত জীবনের গােছানাে ছকে এগােবার আগে পত্রবাহকের দায়িত্ব নিয়ে টিউলিপকে ফিরতে হলাে দেশে। গন্তব্য রাজশাহী, খুজে বের করতে হবে অচেনা একজনকে। তার হাতে তুলে দিতে হবে টিউলিপের মায়ের লেখা কিছু না বলা কথা'। কাজটা জরুরি, তবে সময় মত ফেরা চাই। কারণ এই শহরের বিশ্বাস নেই, এখানকার মানুষ যে বড় নির্মম। কিন্তু টিউলিপের ধারণা ছিল না রেশমনগরীতে মানুষ আসে নিজের ইচ্ছায় যায় এই নগরীর মর্জিতে। সেই মর্জি আদায় হলাে না। টিউলিপ রেশমি সুতাের মায়াজালে এমনভাবে জড়ালাে যে আর ফেরা হলাে না নিজগৃহে। কী এমন হয়েছিল সেথায়? আজ পাঁচবছর পর নিজের শহরে ফিরেও টিউলিপ একা, রিক্ত, কলুষিত রাজধানীতে নির্বাসিত চোখের সামনে ঘটে গেছে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দম্পতীর জোড়া খুন। সেই খুনের সাক্ষী হয়ে টিউলিপ আজ নজরবন্দি। চোখের সামনে উন্মােচিত হচ্ছে এক নির্মম সত্যির। পাপাচার, লােভ লালসার জালে আটকে পড়া একটা ভয়াবহ শহর। যেখানে বাস করে দুই ধরনের মানুষ। মুখােশধারী আর অসহায় নির্বাসিত। গর্ভে সাতমাসের জমজ সন্তান নিয়ে টিউলিপ কী পারবে এই লড়াই চালিয়ে যেতে না এখানেই থেমে যাবে তার পথচলা? কেউ কী এসে ধরবে না তার হাত? কখনােই কী অন্ত হবে না অভিমান, অহংয়ের নির্বাসনের...