কীভাবে সফল কোম্পানিগুলো এমন সব পণ্য বা সেবা নির্মাণ করে যা মানুষজন ছাড়তেই পারে না?
কেন কিছু কিছু পণ্য আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পায় আবার কিছু পণ্যের ব্যাপারে কেউই অবগত থাকে না? কীভাবে আমরা পণ্যের সাথে নিজের জীবনকে জড়িয়ে ফেলি? কীভাবে সেই পণ্য হয়ে ওঠে আমাদের অভ্যাসের অংশ? যেভাবে প্রযুক্তি আমাদের নানা বাঁধনে জড়িয়ে ফেলে তার কি কোনও নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে?
নির ইয়াল এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন হুক মডেল ব্যাখ্যার মাধ্যমে। হুক মডেল মূলত চার ধাপের একটি প্রক্রিয়া যা নিজ নিজ পণ্যে প্রয়োগ করেছে অসংখ্য সফল কোম্পানি। এই মডেল অনুসরণ করেই বদলে দেয়া হয়েছে কোটি কোটি মানুষের অভ্যাস, জীবন আচরণ। হুক মডেলে ক্রমাগত চক্র সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বারবার একটি পণ্যের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তখন ব্যয়বহুল বিজ্ঞাপন কিংবা শক্তিশালী মার্কেটিংয়ের কোনও দরকার পড়ে না।
স্টার্ট আপ ক্যারিয়ার গঠনের সময়ে এমন একটি বইই খুঁজেছিলেন তিনি, কিন্তু পাননি। নিজের গবেষণা, পরামর্শ এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে এক অব্যর্থ প্রক্রিয়ার উন্মোচন করলেন তিনি। কোনও থিওরি দিয়ে পাঠককে বিভ্রান্ত করেননি বরং কীভাবে পণ্য বা সেবা প্রণয়নে সফল হবেন তার ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দিয়েছেন বাস্তব সব উদাহরণ আর এমন সব কার্যাবলী যা সহজেই করা সম্ভব। হুকড বইটি লেখা হয়েছে প্রোডাক্ট ম্যানেজার, ডিজাইনার, মার্কেটিং অফিসার, স্টার্ট আপ উদ্যোক্তা সহ সেই সকল মানুষদের জন্য যারা জানতে চায় কীভাবে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসমূহ আমাদের আচার আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।
"হুকড পরবর্তী প্রজন্মের পণ্যসমূহের ব্যাপারে স্পষ্ট আলোকপাত করেছে। হুকড বইটি অধ্যয়ন করুন নয়তো যে কোম্পানি আপনাকে হটিয়ে দেবে তারা বইটি নিজ দায়িত্বে পড়ে নেবে।" - ওয়ার্ডপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাট মালেনওয়েগ
"যে সকল স্টার্ট আপ উদ্যোক্তা ব্যবহারকারীদের মনস্তত্ত্ব বুঝতে চায় তাদের জন্য এই বই পড়ার বিকল্প নেই।" - ফাইভ হান্ড্রেড স্টার্ট আপস প্রতিষ্ঠাতা ডেভ ম্যাকক্লিউর
"গ্রাহক সংযুক্তি এবং অভ্যাস গঠনের নিমিত্তে হুকড নামক বইটি এক চমৎকার নির্দেশনা যা আমাদের নিয়ে যাবে ব্যবহারকারীর মনের গভীরে।" - অ্যানড্রু চ্যান, প্রযুক্তি বিশ্লেষক এবং বিনিয়োগকারী
"আপনি বইটা পড়বেন। তারপর মনে মনে আশা করবেন আপনার প্রতিযোগী যেন ভুলেও বইটা না পড়ে। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই বইয়ের মাহাত্ম্য?" - সেডাক্টিভ ইনটার্যাকশন ডিজাইনের লেখক স্টিফেন পি. অ্যানডারসন।