”গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান পরিচিতি” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা : গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়টিকে কিছুদিন আগেও নতুন বলে পরিচয় দেয়া হতাে। এখন সেটা আর বলা হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে ছাত্র-ছাত্রী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক’ পদ সৃষ্টি হওয়ায় এই বৃদ্ধি সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে। তাছাড়া এই বিষয়ের উপর প্রযুক্তির প্রভাবও লক্ষণীয়। সেই হিসেবে প্রযুক্তি ও তথ্য নির্ভর যত বেশি বাংলা ভাষায় পুস্তক প্রকাশনার আশা করা হয়েছিল আসলে ততটা বৃদ্ধি পায়নি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সেই হিসাবে কয়েকগুণ এগিয়ে। জনাব রহমানের বাংলা ভাষায় গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের একটা অভিযান অনেক আগেই ছিল। বর্তমান সংস্করণ সেই ধারাবাহিকতার ফসল। ‘গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান পরিচিতি (চতুর্থ খণ্ড] পুস্তকটি মূলত: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের সিলেবাসের একত্রিত আলােচনা। এবার ভারতের ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস আংশিক সংযােজন করায় বইটি ভারতের গ্রন্থ বাজারে ইতােমধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। সম্পূর্ণ সিলেবাসের ‘গ্রন্থপঞ্জী, রেফারেন্স ও তথ্যসেবা এবং রেকর্ডস ও আর্কাইভস ম্যানেজমেন্ট, পত্র দুটি এ খণ্ডে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সিলেবাসের বাকি অংশ ১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ডে পাওয়া যাবে। গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান পরিচিতি গ্রন্থটির ৮ম সংস্করণ এবার চার খণ্ডে বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রচলিত ধারা পরিহার করে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে বর্ধিত কলেবরে সর্বশেষ তথ্য এতে সন্নিবেশিত হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের বেশ উপকারে আসবে।