“মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ইতিহাস" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতিকে নানা আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে অর্জন। করতে হয়েছে বিজয়ের গৌরব। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত ৬-দফা বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ভিত্তি রচনা করে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির পথনির্দেশিকা দান করে। এই ভাষণে সর্বস্তরের বাঙালির ভেতর স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা মূর্ত হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি তার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। বাংলার মহান স্বাধীনতা অর্জনের এই ইতিহাসে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবােজ্জ্বল। এই দুই বিভাগের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাঁদের সেই মহান গৌরবগাথা বীরত্ব ও আত্মত্যাগের ভূমিকা নিয়েই খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত জেলাসমূহের ইতিহাস নিয়ে রচিত এই গ্রন্থ। আশা করি দুই বিভাগের অন্তর্গত পাঠক এবং সরাদেশের সকল জেলাসমূহের পাঠকের কাছে গ্রন্থটি সাদরে গৃহীত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
Title
মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ইতিহাস
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।