এই গ্রন্থটি মুসলিম তরুণ ও যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের কারণ হবে। গ্রন্থটিতে বিশদভাবে বিয়ের উপকারিতা উপস্থাপন করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যক্তি, সন্তান ও সমাজের ওপর বিয়ে-বিচ্ছেদের ভয়াবহ প্রভাবের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। মুসলিম নবদম্পতি কীভাবে তাদের বৈবাহিক জীবনে সংঘাত এড়িয়ে চলবে, কীভাবে সুন্দর ও সুখী জীবন অতিবাহিত করবে, তার বাস্তবসম্মত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
লেখক কুরআন-সুন্নাহর দলিল ছাড়াও প্রচুর উপাত্ত এনে সেগুলোর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। শতাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ভিত্তি বানিয়ে দেখিয়েছেন—কেন বিয়েতে উৎসাহ দেওয়া ও বিয়ে-বিচ্ছেদকে অনুৎসাহিত করা জরুরি।
গ্রন্থটির লেখক ড. গওহার মুশতাক–মেডিক্যাল টেকনোলজির ওপর ব্যাচেলর অফ সাইন্স ডিগ্রি অর্জন করেন সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কের ইয়র্ক কলেজ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল রিসার্চের ওপর ডক্টরেট লাভ করেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন শায়খ আবদুর রহমান কাশমিরি (ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্ক), শায়খ ড. ইসমাইল মাহমুদ আল আজহারি (নিউ জার্সি), মুফতি আবদুর রহমান ইবনু ইউসুফ (যুক্তরাজ্য), ইমাম তারেক শেববি আল তুনিসি (ফ্লোরিডা)সহ অনেকের তত্ত্বাবধানে।
লেখকের গ্রন্থগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক রিসার্চের উল্লেখ থাকে, যা ইসলামের বিভিন্ন শিক্ষার পেছনের মাহাত্ম্যকে তুলে ধরে। তিনি নিজেও একজন গবেষক এবং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিছু শ্রেষ্ঠ পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের অধীনে। প্রায় ৫০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে তিনি অবদান রেখেছেন, যা পিয়ার-রিভিউড হয়ে বিভিন্ন খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ড. মুশতাক নিয়মিত জুমুআর খুতবা দেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মসজিদে এবং বক্তৃতা দেন ইসলামিক সেন্টারে। তিনি আল-জুমুআ ম্যাগাজিন (ইংরেজি), বাতুল (উরদু) ও মেসাক (উরদু) নামক মাসিক ম্যাগাজিনে লিখেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর রচিত গ্রন্থ রয়েছে। কয়েকটি গ্রন্থ কালান্তর থেকে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুবাদক শাহেদ হাসানের জন্ম ২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জানুয়ারি রাজশাহীতে। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলে এবং সেখান থেকেই এসএসসি পাশ করেছেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকার নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞানবিভাগে এবং বর্তমানে সেখানেই পড়াশোনা করছেন।
লেখালেখি এবং অন্যান্য কর্মের দ্বারা দীনি খিদমতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া এবং আখিরাতের কঠিন দিবসে নাজাত লাভ করাই শাহেদের জীবনের লক্ষ্য।