করোনার শুরুতে মার্চ মাসের শেষ দিকে প্রথমে সীমিত অফিস, এরপর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অফিস লকডাউন। সবকাজ বাসা থেকে। যত রাতেই ফিরি না কেন, প্রতিদিনই অন্তত এক ঘণ্টা বই পড়া হয়। লকডাউনের সময় ভাবলাম এবার বইপড়া অনেক হবে। কিন্তু বই আর পড়তে পারি না। ফেসবুকে কান্না আর কান্না। এসবের মধ্যে হঠাৎ মাথায় কিছু লাইন ঘুরতেথাকল। সেসব লাইনে কাব্যময়তা।
কবিতা শেষ লিখেছিলাম ২৮–২৯ বছর আগে। করোনাকালে আবার কবিতা ধরা দিল। লিখে ফেললাম ‘প্রত্যেকে একা’।ফেসবুকে পোস্ট করা হলো। অবাক হলাম যখন আবৃত্তিকার, উপস্থাপক শারমিন লাকি এটা আবৃত্তি করলেন কবি, আবৃত্তিকার, লেখক ফ্রান্সপ্রবাসী রবিশঙ্কর মৈত্রীর ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে। কাব্যময় বাক্যের গদ্যে বরাবরই আগ্রহ, তবে নিজেকে কবি ভাবারধৃষ্টতা কখনো করিনি। কিন্তু লাকির কণ্ঠে আমার কবিতার পাঠ শুনে মনে হলো, হয়তো কিছু একটা হয়েছে।
মাঝে মাঝে কাব্য এসে কড়া নাড়তে থাকে, আমার দরজায়। এই বইয়ে থাকা কবিতাগুলো চলতি ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল থেকে২৫ অক্টোবর পর্যন্ত লেখা। একই বইয়ে কবিতাগুলো আনার পরিকল্পনাও দ্রুত, মাত্র এক সপ্তাহে একটা প্রকাশনা, প্রায় অসম্ভবএক কাজ। শিল্পী মাসুক হেলাল এক দিনে প্রচ্ছদ এঁকে দিলেন। পৃষ্ঠাসজ্জা করে দিলেন মনিরুল ইসলাম। কবি রাসেল রায়হানদেখে দিলেন বাক্যবিন্যাস। বই প্রকাশনার পুরো দিকটা সামলালেন অনুজপ্রতিম লেখক রাহিতুল ইসলাম। এঁরা ছাড়া রঙিনমেয়ের শুভ্র ভালোবাসা আলোর মুখ দেখত না।