“দ্য ওয়াণ্ডারার’স নেকলেস" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ কান্তা উঠল না। বলল, “তুমি মানাে বা না মানাে। আমি জানি আমার আদর্শ কে।” -এসব কোনাে কথা না রে। আজ তুই নিজেকে যতদূর এনেছিস তা তাের একদিনের পরিশ্রম নয়। দিনের পর দিন তুই পরিশ্রম করে এখানে এসেছিস। আজ তােকে কত মানুষ ভালােবাসে, রেসপেক্ট করে! হ্যাঁ, এর মাঝে হয়তাে কিছু আছে তাের হেটার্স। যার লাভার্স থাকে তার হেটার্সও থাকে। ওই হেটার্স তােকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যাবেই আজীবন ধরে। তাের আচার-আচরণ, তাের কর্মকাণ্ড সব কিছুতেই তাদের সমস্যা থাকবে। তােকে পছন্দ করবে না, দোষ-ত্রুটি খুঁটে খুঁটে বের করার চেষ্টা করবে, তােকে যে-কোনােভাবে হেয় করতে চাইবেই। কারণ, সবাই তাে তােকে বিচার করতে পারবে না। সেই যােগ্যতা সবার থাকে না কিন্তু তুই সেসব কিছু কখনােই গায়ে মাখবি না, কানে তুলবি না। মানুষের ভালােবাসা আর তাদের দেওয়া সম্মান নিয়ে শুধু এগিয়ে যাবি। কে কী বলল, কে কী দোষ ধরল তা ভুলেও শােনার চেষ্টা করবি না। জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সফলতা দিতে চাইলে কখনাে স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়, কখনাে চরম স্বার্থপর হতে হয়। তুই নিজে বাঁচতে এই পৃথিবীতে এসেছিস। অন্যকে বাঁচিয়ে রাখার দয়িত্ব ততক্ষণ পর্যন্ত তাের না, যতক্ষণ না তুই নিজেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারবি। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। যখন তুই নিজেই নিজেকে পরিপূর্ণ অনুভব করবি, আত্মতৃপ্তি পাবি, তখন তুই এই দায়িত্ব পালন করতে পারবি। আর তখনই তুই নিঃস্বার্থভাবে দান করতে পারবি। তুই নিজে আত্মতৃপ্তি না পেলে এই দায়িত্ব কখনােই পালন করতে পারবি না।
ইসরাত জাহান দ্যুতির লেখালেখির সময়টা খু্ব দীর্ঘদিনের না হলেও তবে এই লেখালেখির সঙ্গে স্বল্প দিনেই তার সম্পর্ক অনেকটা গড়ে উঠেছে আত্মিক সম্পর্কের মতো। ২০২০ এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার প্রথম উপন্যাস 'প্রভাতকিরণ' প্রকাশ পায়। এরপর পাঠকদের মনে স্থান পেয়ে যান তিনি এই উপন্যাসের দ্বারাই৷ ফাইন্যান্স বিভাগে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি লেখক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ব্যক্তিগত জীবনের সুখ সমৃদ্ধির বাইরেও তিনি সুখ আর আনন্দ খুঁজে পান তার লেখা শব্দগুলোর মাঝে। শব্দগুলো থেকে একেকটা বাক্য তৈরি করে কয়েকটি কাল্পনিক চরিত্রের জীবনপ্রবাহের রূপ সৃষ্টিতেই তিনি পরিতৃপ্তি বোধ করেন।