পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী জাতিসত্তার মননশীলতা বিকাশে মহৎ কবিদের লেখনী আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। ইংরেজ শাসনের দীর্ঘকালে সামাজিক বিভাজন ও বৈষম্যের কারণে বাঙালির সাহিত্যচর্চা স্থবির হয়ে পড়েছিল? পাকিস্তান সৃষ্টির পর ক্ষমতাগোষ্ঠীর আত্মবিকারের করাল আঘাতে আমাদের জাতিসত্তার মূলধারার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তারপর রক্তাক্ত ও সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্য উদিত হয়।
যে সমাজে আমরা বসবাস করি সেখানে মুখোশের আড়ালে হাজারো অন্ধকার দৃশ্যমান। একজন কবি সমাজ বা রাষ্ট্রের অন্ধকার জাতির সামনে তুলে ধরেন। রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয়ে থাকা বা বাইরে থাকা অসুস্থ চিন্তার মানুষগুলো প্রতিনিয়ত সামাজিক স্থিতিশীলতার মূলে কুঠারাঘাত করে। সমাজের সেই অসংগতি অনুসন্ধানী মানুষের মনে সহজেই ধরা পড়ে।
‘অদ্ভুত আঁধার চারদিকে’ কাব্যগ্রন্থে আমি সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অন্ধকার দিক নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছি। বেশির ভাগ কবিতায় রূপকের আশ্রয় গ্রহণ করেছি। শব্দচয়নে বাংলার লোকায়ত জীবনের ব্যবহৃত শব্দগুলো গ্রহণ করেছি। কবিতাগুলোয় পাঠক সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক অন্ধকার দিক সম্পর্কে অবগত হবে। আত্মিক জাগরণে আমার কবিতাগুলো পাঠকের হৃদয়মন্দিরে সত্য অনুভূতি জাগিয়ে তুলবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।