আল্লাহর রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবাদের জীবন বড় বৈচিত্র্যময়। আল্লাহ তাআলা এই মানুষগুলোর হৃদয় এতো স্বচ্ছ ও সফেদ বানিয়েছেন যে সাহাবাদের যাপিত জীবনের বাঁকে বাঁকে উম্মাহর জন্য রয়েছে আদর্শ ও চিন্তার খোরাক। সাহাবা রাযিয়াল্লাহু আনহুমের ব্যাপারে আহলে সুন্নাহর বিশ্বাস হলো, তাঁরা মাসুম ছিলেন না, তবে তাদের কারো থেকে গুনাহ প্রকাশ পেয়ে গেলে অবশ্যই মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহ তাকে তাওবার তাওফিক দিয়েছেন। প্রবৃত্তির প্ররোচনায় কখনো গুনাহ করে ফেললে কিংবা সাময়িক পথ হারিয়ে ফেললে, রবের পথে প্রত্যাবর্তনের যে আকুলতা তাদের অস্থির করে তুলতো–এটা অন্যদের জন্য আদর্শ। অপরাধের এই সরল স্বীকারোক্তি থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু। তদ্রুপ, সাহাবাদের পারস্পরিক ভালোবাসা ও আত্মীয়তার ভিত্তিও ছিলো দীনের ওপর। আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশের সামনে নিজেদের বন্ধুত্ব, সম্পর্ক সবকিছুকে পরিত্যাগ করতে তারা বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হতেন না। বক্ষ্যমাণ বইয়ে তিনজন সাহাবীর তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহন না করা ও পরবর্তী তাদের কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি অত্যন্ত সরলভাবে আলোচিত হয়েছে। একটি মাত্র হাদিস। অথচ এর শব্দে শব্দে কতো শিক্ষা ছড়িয়ে আছে। এই শিক্ষা নিজের মধ্যে লুকানো নিফাকি যাচাই করার। এই শিক্ষা নবীযুগের সাথে আমাদের সমাজকে মিলিয়ে দেখার। সর্বোপরি নিজেদের ফিরে পাবার। আল্লাহ আমাদের এই প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।