আমি 'মুক্তেশ্বরী টি স্টল' এ বসে আছি। মুক্তেশ্বরী নদীর পাশে অবস্থিত বলেই এর নাম করণ করা হয়েছে 'মুক্তেশ্বরী টি স্টল'। দোকানির নাম রাজু। চায়ের দোকানি রাজু ভাই ও আমার বন্ধুরা সহ মোট চারজন বসে আছি। সময় রাত এগারোটা বেজে ঊনপঞ্চাশ মিনিট। সদ্য মোবাইল থেকে সময় দেখেছি। শীতকাল প্রায় শেষের পথে। ফাল্গুন মাস আসতে মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে। মাঘ মাসের এমন কড়া শীতেও আমার গায়ে নীল একটা চাদর ছাড়া পুরু কোনে কাপড় নেই। রাজু ভাইকে তিন কাপ চা দিতে বললাম। চায়ের সাথে পাউরুটি খাব। পাউরুটি গুলো ঠান্ডায় জমে গেছে। শিশির পড়ে ভেজা ভেজা ভাব এসেছে। পাউরুটি হালকা আগুনে ছেকে একটু গরম করলে, চা'য়ে চুবিয়ে খেতে ভালো লাগবে। রাজু ভাই চা দিলো। মোবাইল'টা পাশে রেখে চা হাতে নিয়ে রাজু ভাইকে বললাম, - রাজু ভাই, তিনটা রুটি ছিকে গেঁথে আগুনে ছেকে দিন। রাজু ভাই তিনটা রুটি ছিকে গেঁথে পোড়াচ্ছে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে রাস্তার দিকে চোখ পড়ল। একটা মাইক্রো বাস এসেছে। মাইক্রো বাস থেকে ছয়জন ডিবি পুলিশ নামলো। মুক্তেশ্বরী টি স্টলের সামনে এসে কাউকে খোঁজা-খুঁজি করছে। দুজন দোকানের ভিতরে প্রবেশ করল। তাদের মাঝে একজন মোবাইল বের করে চাপাচাপি করছে। অন্যজন আমাকে জিজ্ঞেস করল,
লিমন খন্দকার! তরুণ লেখকদের মাঝে অদৃষ্টপূর্ব। ছেলেবেলা থেকে কলম ধরেছেন বাংলা সাহিত্যের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা রেখে। তাঁর দৃঢ় চেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম আপনার নিকট গল্প, কবিতা, উপন্যাস পৌঁছে দিতে পেরেছে। তাঁর লেখা সকল কাব্য ও বিভক্ত গল্পগুচ্ছ বিচিত্র শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, "আমার লেখা হতে আপনার অর্জিত জ্ঞান, আমার মূল সার্থকতা।" ‘লিমন খন্দকার’-এর জন্ম যশোর জেলার মণিরামপুর থানায়। তিনি যশোরের 'নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজ' থেকে SSC পাশ করেন। এরপর খুলনা মহানগরীর বৈকালী'তে অবস্থিত 'Mangrove Institute of Science and Technology' থেকে ‘Diploma in Computer Engineering’ পাশ করেন। তারপর খুলনা মহানগরীর 'Northern University of Business and Technology'তে B.Sc in Computer Science and Engineering (CSE) বিভাগে অধ্যয়ন করেন। লিমন খন্দকার-এর লেখা গ্রন্থ সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ নাট্যকাব্যঃ ১) ‘কাজললতা’ / গল্পগ্রন্থঃ ১) ‘দুঃসময়’ ২) ‘সুসময়’ / নাটকঃ ১) ‘মায়াবী সন্ধ্যা ২) ‘আতঙ্ক’ / ইসলামি সাহিত্যঃ ১) ‘নীল দেয়ালের ঘর’ / উপন্যাসঃ ১) ‘অবিচার’ ২) ‘নীলা’ ৩) ‘নীলের নীলিমা’ ৪) ‘বিচিত্র জীবন’ ৫) ‘শ্যামলী’ ৬) ‘আত্মপ্রকাশ’ ৭) ‘নীল’ / কাব্যগ্রন্থঃ ১) ‘ইসলাম’ ২) ‘নীলকাব্য’ ৩) ‘নীলকমল’ ৪) ‘জোনাকির আলো’ ৫) ‘প্রতিবাদ’ ৬) ‘নীল বিষাদ’ ৭) ‘শিউলিতলা’ উপরোক্ত সকল গ্রন্থ যন্ত্রস্থ। যা পর্যায়ক্রমে এখানে পাওয়া যাবে। একুশে বইমেলায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ‘অবিচার’। লিমন খন্দকার বরাবরই সুচিন্তাশীল একজন ব্যক্তি। তিনি প্রকৃতি ও মানব প্রেমিক। তাঁর যাবতীয় লেখা আমাদের স্বদেশ ও দেশের মানুষের প্রতি এক বিশেষ অবদান। আশা করি তাঁর লেখা সকল বই আপনার ভালো লাগবে।