লাবনী পয়েন্ট কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট বিচের সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। এ লাবনী পয়েন্টের নামকরনের একটি চমৎকার ইতিহাস তুলে এনেছেন লেখক নিপুন হাতে। গল্পের নায়িকা হেমনগরের জমিদার হেমেন্দ্র চৌধুরীর কন্যা লাবনীর ইচ্ছামৃত্যুর মধ্য দিয়ে গল্পের সমাপ্তি হলেও পাঠকের মনে রয়ে যায় এই মেয়েটির জন্য অপার দুঃখবোধ। বইটিতে লাবনী পয়েন্ট ছাড়াও আরও ৫ টি গল্প ও একটি চিঠি রয়েছে ভিন্ন আমেজের, ভিন্ন স্বাদের। যারা গল্প পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য লাবনী পয়েন্ট একটি চমৎকার গল্প সংকলন। কিংবদন্তির নীরব ধন কি এমন ধন তাদের ছিল যা সাধারনের নেই। জগতে শ্রেষ্ঠ মানুষগুলো সম্পদের বিচারে নিঃস্ব হলেও তাদের এমন কি ঐশ্বর্য ছিল যা তাদের আলাদা করেছে সাধারণ থেকে।কিংবদন্তিদের সেই গুপ্ত ধনের সন্ধান করেছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক ও গবেষক অধ্যাপক জে. আলী। এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে আপনাকে জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করবে। উৎসাহিত করবে আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা মহান এক সত্ত্বাকে আবিস্কারের। ইঁদুরের পকেটমানি পেশা হিসেবে বিক্রয়বিদ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে লেখা এই বই শুধু বিক্রয়কর্মীদের জন্য নয় সমাজের যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের মনের খোরাক জোগাবে এই বই। কারণ এই বই পড়ে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন-পেশাগত সফলতা কেন জরুরি, পেশাগত জীবনে কীভাবে সফল হওয়া যায়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আস্থাভাজন কীভাবে হওয়া যায়, সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা কেন সফলতার পথের পাথেয়। একজন মানুষ কীভাবে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবে, অন্যের কাছে আকর্ষণীয় করবে এবং তার দৈনন্দিন জীবন কীভাবে সরলীকরণ করবে তার বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে বইটিতে। যারা প্রচ- আত্মবিশ্বাসী হতে চান, কর্মদক্ষতা বাড়াতে চান, নিজের ওপর ভরসা করতে চান, নিজের ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে চান, জনপ্রিয় হতে চান, আরও বেশি ভালোবাসা পেতে চান তাদের জন্য রয়েছে বাস্তববাদী জ্ঞানপ্রসূত দিকনির্দেশনা। সফলতার প্রথম পাঠ যৌক্তিক কারণে বা পরিবার ও পারিপার্শ্বিক কারণে যদি কেউ ব্যর্থ হয় তবুও সমাজ তাকে ক্ষমা করেনা, দ্বিতীয়বার সুযােগ করে দেয়না সফলতার। অথচ একই ব্যক্তি যখন সফল হয় সবাই তার গুণমুগ্ধ হয়, সফলতার স্বাদ নিতে চায় সবাই, এটাই আমাদের সমাজ। যেহেতু ব্যর্থতার দায়ভার সমাজের হলেও কেউ ভাগীদার হতে চায়, তাই ব্যর্থ হওয়া গ্রহণযােগ্য নয় নিজের জন্যেও না, সমাজের কাছেও না। একজন মানুষ সফল হয় সচেতনভাবে, পরিকল্পনা মাফিক ও প্রচন্ড পরিশ্রম করে। আবার ব্যর্থ হয় অসচেতনভাবে বা জীবনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকার কারনে অথবা একজন সঠিক গুরু না ধরার কারণে। আপনি যদি সফল হতে চান, যদি জীবনের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাও থাকে, যদি সাময়িক হতাশা, ব্যর্থতা বা জীবনের সফলতার কোন আশাই না থাকে, তবে বইটি আপনাকে আলাের পথ দেখাবে, প্রচণ্ড আনন্দ দেবে। নিজেকে পরিবর্তনের বিন্দুমাত্র ইচ্ছে থাকলেও বইটি পড়া শুরু করুন এবং কয়েক পাতা পড়ে যান। মজা না পেলে, উপকৃত না হলে, চিন্তার জগতে ঢেউ না তুললে ধরে নিবেন বইটি আপনার জন্য নয়। "সফলতার দ্বিতীয় পাঠ চাবুক" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কোন মানুষ যখন ভিতরের শক্তিটাকে চিনতে পারে। তখন সে হয় উদ্যমী, সে হয় সফল। ব্যর্থ যারা তারা ব্যর্থ হওয়ার কারণ না খুঁজে হতাশায় ভােগে, হতোদ্দম হয়ে কর্ম করা ছেড়ে দেয়। জীবনের খেই হারিয়ে ফেলে। কিন্তু একটু সচেতনভাবে যদি কেউ নিজেকে নিয়ে ভাবে, নতুনভাবে শুরু করে তার গন্তব্যের পথে। যাত্রা একটু দেরিতে হলেও সে হয় সফল। চাবুক বইটি পড়াশুনায় অমনােযােগী, জীবন সম্পর্কে হতাশ ফেসবুক, মােবাইল গেমস, নেশা বা অন্যান্য বিষয়ে আসক্ত যে কোন শিক্ষার্থীকে নতুন পথের সন্ধান দিবে। আশা জাগাবে নতুনভাবে। জাগিয়ে তুলবে তার ভিতরের শক্তিকে । মনযােগী হবে তার কর্তব্য ও কর্মে। যে কোন শিক্ষার্থীকে সে যতই পিছিয়ে পড়া হােক মাত্র একবার এই বইটি ধরিয়ে দিতে পারলে তার নিজের সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শুরু করবে এবং সে হাঁটবে সফলতার দিকে। এ বই যে কোন বয়সী পাঠককে বর্তমান শিক্ষার্থীদের অবস্থা এবং তাদের পড়াশুনার অমনযােগীতা সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। অভিভাবকদের সচেতন করবে মারাত্মকভাবে। দীর্ঘ সময়ের গবেষণায় লেখা। এই বই পাঠকের জীবনবােধকে জাগ্রত করবে এবং একজন সফল মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, ড. জে. আলী নামে পাঠক মহলে সমধিক পরিচিত। হুমায়ুন পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে যে কয়জন লেখক পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন ড. জে. আলী তাদের মধ্যে অন্যতম। তার লেখায় টান আছে, আছে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার চমৎকার কৌশল। পুরুষ্কার প্রাপ্ত এই লেখককে আত্ব-উন্নয়নমূলক বই লেখার জন্যে বলা হয়-বাংলাদেশের ডেল কার্নেগী। টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব পাশে পয়লা গ্রামে ১৯৭৯ সালে জন্ম নেয়া এই লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পূর্ণ করেন। এরপর ঢাকায় এসে ইংরেজী সাহিত্যে এম.এ এবং এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন ভেতরের তাগিদ থেকে। পি.এইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড়যুগ সময় ধরে অধ্যাপনা করছেন। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু। এরপর দেশের বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শিক্ষকতা করেন দশ বছরেরও অধিক সময়। এছাড়াও খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবে পড়িয়েছেন-ড্যাফোডিল, গ্ৰীন, পিপলস্, ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন-ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্স (আই ইউ এস) বনানীতে । মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ২০২২ সালে। দেশে ও বিদেশের বিখ্যাত জার্নালে তার ২৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে তার। ”আপনি খুঁজছেন চাকরী কিন্তু নিয়োগকর্তা খুঁজছেন কী?” এই নামে ২০০৮ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই। ছাত্রছাত্রী ও চাকরী প্রার্থীদের জন্য লেখা - ”সফলতার প্রথম পাঠ” পাঠক মহলে সমাধৃত হয় ব্যাপক ভাবে। তার লেখা সেলস এন্ড মার্কেটিং নিয়ে "ইঁদুরের পকেট মানি", পিছিয়ে পড়া ও হতাশাগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রী জন্য লেখা "সফলতার দ্বিতীয় পাঠ- চাবুক", এবং একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২০ এ প্রকাশিত আত্ম-উন্নয়ন মুলক বই-"কিংবদন্তীর নীরব ধন" পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তাঁর লেখা "লাবনী পয়েন্ট" ও "উপেক্ষা" ছোট গল্পগ্রন্থ দুইটিও নজর কেড়েছে সুধী মহলের। তাঁর লেখা উপন্যাস "অভিশাপের" জন্য পেয়েছেন মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এবং সাহিত্য বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন "মিডিয়া জার্নালিস্ট ফোরাম অ্যাওয়ার্ড ২০১৯"। ২০২৩ বই মেলায় প্রকাশিত হয় গল্প সংকলন "লোভ"। তিনি একজন সফট স্কিল এবং সেলস ট্রেইনার হিসেবে দেশ এবং দেশের বাইরে পরিচিতি পেয়েছেন ব্যাপকভাবে। শিক্ষকতার পাশাপাশি আত্ম-উন্নয়ন মূলক বই লিখে অল্প সময়ে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন লেখক ড. জে আলী।