সাইবার আক্রমনে দিশেহারা ইউরোপ আর আমেরিকার অর্থনীতি। ইনটেলিজেন্স এজেন্সির সার্ভারের সব ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। অনেক ছাড় দিয়েছে, আর নয়। পশ্চিম থেকে উত্তর কোরিয়ার পাঠানো হল ঘাতক। কড়া জবাব দিতে যাচ্ছে সে, সাথে একটা স্নাইপার রাইফেল, দশটা বুলেট আর নামের তালিকা। শত্রুদূর্গের ঠিক মর্মস্থলে আঘাত হানতে হবে ওকে। ফিরতে পারবে তো?
কে এই ঘাতক? জন মিল্টন। এক নিবেদিত-প্রাণ শিল্পী, মানুষের প্রাণ নেয়া যার শিল্প। এক নিপুন কারিগর, রক্ত যার কারবার। মিল্টন হল সেই ঘরনার লোক যাদের সরকার ঠিক তখন পাঠায় যখন আর কোনো উপায় থাকে না। নিষ্ঠুর, ধূর্ত, ছদ্মবেশী, লক্ষ্যভেদী এক এজেন্ট। সামনে থাকলেও হয়তো তাকে আলাদা করে চোখে পড়বে না। কিন্তু তার তালিকায় নিজের নামটা ভুলেও দেখতে চাইবেন না আপনি। কারণ তার তালিকায় নাম মানে জীবিতের তালিকা থেকে আপনার নামটা মুছে যাওয়া। টানা দশ বছর এই কাজ করার পর মিল্টনের হাতে এখন অনেক রক্ত। অভিশপ্ত এই জীবন থেকে মুক্তি চায় সে। কিন্তু লোহিত বর্ণে কলংকিত অতীত তো পিছু ছাড়বার নয়! এই উপন্যাসে হার ম্যাজেস্টি’র সরকারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই হিটম্যানকে পাঠানো হয়েছে উত্তর কোরিয়াতে। বাকিটা জানতে হলে পড়তে হবে, “১০০০ গজ”।