"উর্মিলা নগরে থাকে" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সামরিক স্বৈরাচারবিরােধী নব্বইয়ের গণআন্দোলন একটা বিরাট ঘটনা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের হাত ধরে আসা আরেকটি বড় অর্জন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যখন হঠাৎ করে অন্ধকারের কবলে পড়ে যায় দেশ; তখনই ঝাঁপিয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লা থেকে আসা কোমল শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই তেজদীপ্ত শক্তি ফিরে পায় স্বাধীনতার সূর্য। এরই প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে ‘উর্মিলা নগরে থাকে’ উপন্যাসটি। এ উপন্যাসের মূল চরিত্র উর্মিলা গ্রাম থেকে সদ্য উঠে আসা একটি মেয়ে। যাকে নগরের জটিলতা স্পর্শ করার আগেই হয়ে ওই মুক্তির প্রতীক। সারল্য থেকে বেরিয়ে শিখে নেয় অধিকার আদায়ের মন্ত্র । লেখকের ভাষায়- যার রয়েছে অমিত তেজ আর সুদৃঢ় দেশপ্রেম। সারল্যে গড়া উর্মিলা পাল হয়ে ওঠে জাতির এক অনন্য বিস্ময়। লেখক বলেছেন- ‘শুভপুরের বন-বাদাড়ে ঘাসফড়িংয়ের পেছনে ঘর বেড়ানাে উর্মিলার ক্রমেই মৃত্যু ঘটছে। তার জায়গায় বাসা বাঁধতে শুরু করেছে দৃঢ় ক্রোধে এক মানবিক সত্তা। জীবন আবিষ্কার করার দুর্নিবার আকর্ষণ।' উপন্যাসটিতে লেখক সাবলীলভাবেই হাজির করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতাে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলাে। দক্ষতার সাথে সুনিপুণভাবে চিত্রিত করেছেন নব্বইয়ের জীবন্ত পটভূমি। রনি রেজা