এক রহস্য মানব। যাকে কোন যুক্তিতে ব্যাখ্যা করা যায় না। হলুদ পাঞ্জাবী পরে, খালি পায়ে নিজের মতোই তার পথ চলা। বইপোকাদের মধ্যে এই মহাপুরুষকে চিনেন না এমন পাঠক পাওয়া যাবে না । আমরা হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা তার মৃত্যুর পর যে চরিত্রটির অভাব সবচেয়ে বেশী অনুভব করেছি সেটা এই "মহাপুরুষ"। সেই তাড়না থেকেই এই উপন্যাস "মহাপুরুষ" এর সৃষ্টি। কেমন হতো এই ২০২০ সালে যদি মহাপুরুষ থাকতো আমাদের মাঝে? সেও কি আমাদের মতোই ভাবতো, নাকি তার স্বভাবসুলভ রহস্যময়তা ধরে রাখতো? হুমায়ূন ভক্ত লেখক তৌফিক মিথুন তার লেখনীতে একটি মায়াবী জাল বিছিয়েছেন। সেই জাল ভালোবাসার জাল। সেই জাল হলুদ পাঞ্জাবীর, মহাপুরুষের। লেখকের মতে, “সন্তান যেমন গভীর শ্রদ্ধায় বাবার পাঞ্জাবী গায়ে জড়ায়, তেমনি কিছু কিছু চরিত্র, কথা হুবহু উনার মত করেই সাজানোর বা অনুকরণের একটা সূক্ষ্ম চেষ্টা আছে এই বইতে। এই লেখার ঝুঁকি আমি জানি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার পাশাপাশি গালমন্দও যে জুটবে না, তা না। যেহেতু কিংবদন্তীর লেখাকে ভালোবেসেই, উনার তৈরী একটা চরিত্রকে অবলম্বন করে ‘মহাপুরুষ’ এর সৃষ্টি। প্রিয় লেখকের প্রতি এ শ্রদ্ধাঞ্জলি আশা করি পাঠক-পাঠিকারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন।”
বাংলাদেশি কথা সাহিত্যিক। পুরো নাম মোঃ তৌফিক ইবনে নওশাদ (মিথুন)। তবে তৌফিক মিথুন নামেই অধিক পরিচিত। ২৫ জুলাই জন্ম নেয়া এই কথা সাহিত্যিকের জন্মস্থান ফরিদপুর হলেও, শৈশব আর কৈশোর কেটেছে পাহাড়-সমুদ্রের মিলনস্থল চট্টগ্রামে। লেখালেখির শুরু ছোট বেলা থেকেই। তবে প্রথম গ্রন্থাকারে আবির্ভাব ২০১৯ বইমেলায় পরিবার পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত ছোট গল্পের বই ‘প্রেত’ দিয়ে। 'প্রেত' এর অভাবনীয় পাঠকপ্রিয়তায় আর পেছনে তাকাতে হয়নি… একের পর এক লিখে যাচ্ছেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস।