"মধ্যদুপুর" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা রিমি, পলাশের কথা অনেক মনে পড়ছে? হু। আজ ওর মৃত্যুবার্ষিকী। আরিফ, তুমি কি আমার কথা শুনে কষ্ট পাচ্ছাে? কষ্ট পাবাে কেন? তুমি তাে আমার সাথে কোনাে অন্যায় করােনি। তুমি চাইলে এটা আমাকে না জানালেও পারতে। পারতে না, বলাে? কিন্তু তুমি তােমার জীবনের কষ্টের কথা আমাকে বলেছাে। আমি তােমাকে অনেক ভালােবাসি। কিন্তু মনে হয়, আমার ভালােবাসা পলাশের ভালােবাসার কাছে কিছুই না। আমি তােমাকে ভালােবাসি। কিন্তু পলাশ ছিলাে আমার জীবনের প্রথম ভালােবাসা। এভাবে ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে তা আমি কখনাে কল্পনা করতে পারিনি, আরিফ। রিমি আর কথা শেষ করতে পারলাে না। আরিফের বুকে মাথা রেখে ডুকরে কেঁদে উঠলাে। আরিফ রিমিকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। রিমির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। রিমির কান্না দেখে আরিফের চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে পড়ছে। আরিফের ইচ্ছা করছে-যদি সম্ভব হতাে তাহলে ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে ৮ বছর আগের সেই মধ্যদুপুরে ফিরে যেতাে। সেই মধ্যদুপুরে, পলাশের হাতে রিমির হাত দিয়ে বলতাে- এই মেয়েটি আপনাকে অনেক ভালােবাসে। মধ্যদুপুরের ভালােবাসার চোখের জল আপনি দেখেননি। দেখেছি আমি । প্রতিটি চোখের জলে যে কি ভালােবাসা! তা আপনি জানেন না, পলাশ। জানি শুধু আমি…