বই সম্পর্কে কিছু কথা - বিজ্ঞাপন- ১ ব্যবসায় নেমেই আমরা লাভ-লোকসানের হিসেব-নিকেশ করি। অথচ এটা বুঝি না যে লাভ-লোকসান হলো কাস্টমার সার্ভিসের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া মাত্র। ছোট ছোট দোকান-পাট থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই কাস্টমার সার্ভিসে ভীষণ রকমের অবহেলার ছাপ চোখে পড়ে। এমন কি ব্যাংকিং সেক্টরেও কাস্টমার সার্ভিসের মান নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। ডিজিটাল এই যুগে অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। অথচ এই সেক্টরেও কাস্টমার সার্ভিসে আশংকাজনক দুর্বলতা গ্রাহকমাত্রেরই চোখে পড়ে। আমাদের দেশে এ বিষয়ে যেমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার অভাব রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভালো বইয়ের অভাব। প্রশিক্ষণের সাথে অনেক সময় খরচের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে বলে কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে স্বল্প মূল্যের একটা বই পারে বিরাট রকমের সহযোগিতা করতে। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হোক অথবা ব্যক্তিগত ভাবে, আমরা খুব সহজেই বইয়ের সাহায্য নিতে পারি নিজেকে কাস্টমার সার্ভিসের উপর পারদর্শী করতে। আপনি ব্যাংকার হোন বা ব্যবসায়ী, কল সেন্টারে কর্মরত হোন বা অনলাইনে ব্যবসা করেন এ বইটি পড়লে নিঃসন্দেহে আপনার কাজে দেবে। মোট কথা, আপনার যে কোনো রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেলসম্যান বা কর্মচারীদের বইটি অবশ্য পাঠ্য করলে কাস্টমার সার্ভিসের মান বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে।
বইটিতে নিচের বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে: ১. কাস্টমার সার্ভিসের মৌলিক বিষয়। ২. কাস্টমারের সাথে কার্যকর যোগাযোগ করার পদ্ধতি। ৩. মুখোমুখি সার্ভিস দেয়ার পদ্ধতি। ৪. টেলিফোনে সার্ভিস দেয়ার পদ্ধতি। ৫. অনলাইনে ও ফেসবুকে সার্ভিস দেয়ার পদ্ধতি। ৬. অভিযোগকারী বিরক্ত কাস্টমারকে সামলাবার উপায়। ৭. কাস্টমারের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ার পদ্ধতি। ৮. কাস্টমারকে চমৎকৃত করার পদ্ধতি। ৯. কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা। ১০. বিখ্যাত কিছু প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার সার্ভিসের বিখ্যাত উদাহরণ। ১১. কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য। দেরি না করে আজকেই অর্ডার করে রাখুন।
কয়েস সামী। ছেলেবেলা থেকেই বইয়ের সাথে তার নিবিড় বন্ধুত্ব। সাহিত্যকে ভালোবেসে পড়েছেন সিলেটের এমসি কলেজের ইংরেজিতে। পড়তে পড়তে লেখালেখিতে ঝুঁকে পড়েন একসময়। আনন্দ খুঁজে পান গল্প বলায়। সহজ সরল ভাষায় গল্প বলাতেই পছন্দ করেন বেশি। তার লেখা লাকি থার্টিন গল্পগ্রন্থটি দেশ পান্ডুলিপি পুরস্কার অর্জন করে নেয় ২০১৯ সালে। অন্যান্য বইগুলির মধ্যে রয়েছে- ঝরিছে নয়নবারি, পেনসিল ভূত, মোটুপাতলুর বন্ধু সাফওয়ান। পেশায় ব্যাংকার হওয়ায় লেখালেখির জন্য সময় খুঁজে বের করা কষ্টকর হয়ে পড়ে অনেক সময়। তবু তিনি সময় বের করে নেন- নেশার টানে, ভালোবাসার টানে।