ঘরের মূল নিয়ন্ত্রণ যার হাতে, যার হাতে থাকে আগামী দিনের বংশধরদের দীক্ষা আর শিক্ষার ভার, সেই মাকেই আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তিনিই গড়ে তুলবেন সেই প্রজন্ম, যে প্রজন্ম নিজেদের আচার-আচরণ, কথা আর কাজ-কর্মের মাধ্যমে একদিন বিশ্বকে ইসলামের সুমহান আদর্শ জানিয়ে দেবে। এটা দ্রুত হওয়া দরকারও বটে।
ইতোমধ্যে ইসলাম বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত একটা দর্শনে পরিণত হয়েছে। মানুষ যখন কথা বলছেন, তখন ইসলাম নিয়েই কথা বলছেন। যখন কথা শুনছেন, তখন এই ইসলাম নিয়েই কথা শুনছেন। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় শুনছেন। লেখকরা যখন লিখছেন, তখন তারা ইসলাম নিয়েই লিখছেন। এর পক্ষে লিখছেন অথবা বিপক্ষে লিখছেন। তবে লিখছেন তো! পক্ষে লেখার সংখ্যা কম, নিতান্তই কম। তাতে কী?
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন, যে সভ্যতায় জন্মহার কমতে কমতে পরিবার প্রতি ২.১১ এ এসে ঠেকে, সে সভ্যতা ক্রমেই বিলুপ্তির পথে হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমান পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পরিবার প্রতি জন্মহার আপনারা জানেন কি? এভাবে চলতে থাকলে আর মাত্র ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলো হবে মুসলিম প্রধান দেশ! খুব অবাক হলেন, তাই তো? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই বিস্ময়কর ব্যাপারটি কীভাবে সম্ভব...
কৃষ্টি আর কুষ্টি’র (পাট) জন্য বিখ্যাত কুষ্টিয়ার সন্তান জিয়াউল হক। জন্ম ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬০। তৎকালীন পাকিস্থান নৌবাহিনীতে কর্মরত পিতার কর্মস্থল করাচিতেই কেটেছে শৈশব-কৈশোর ও তারুণ্যের দিনগুলো। ১৯৭৪-এ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের ফিলিপনগর প্রত্যাবর্তন। মেন্টাল হেলথ্ নার্সিং, মেন্টাল হেলথ, সাইকিয়াট্রিক রিহাবিলিটেশন-এ পড়াশোনা করেছেন তিনি। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি থেকে মেন্টাল হেলথ, ইএমআই ও ডিমেনশিয়া ম্যানেজমেন্ট কোর্স শেষ করে ইংল্যান্ডেরই একটি বেসরকারি মেন্টাল হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার ও ক্লিনিকাল লিড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এখন লেখালিখিতেই ব্যস্ত। নাবিকের নোঙ্গর হয় ঘাটে ঘাটে। শৈশবেই খেলাচ্ছলে কলম হাতে নিয়ে লিখতে বসা, একজন নাবিক পিতার সন্তান জনাব জিয়াউল হকও জীবনের তিন-চতুর্থাংশ সময়ই দেশের বাইরে কাটিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পেরিয়ে চাকরির সুবাদে ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে অবস্থান করলেও নিয়মিত লেখালেখি করছেন। এ পর্যন্ত তাঁর তিরিশটি গ্রন্থ ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ‘বই খাতা কলম’, ‘মানব সম্পদ উন্নয়নে আল কুরআন’, ‘ব্রিটেনে মুসলিম শাসক’, ‘বাংলাদেশের শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা’, ‘ইসলাম : সভ্যতার শেষ ঠিকানা’, ‘ইসলামি শাসন ব্যবস্থা : মৌলিক দর্শন ও শর্তাবলি’, ‘ধরণীর পথে পথে’, ‘অন্তর মম বিকশিত করো’, ‘একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ ও যুব মানস’, ‘তেইশ : দ্য টাইম টু রাইজ আপ’, ‘মন ও মানসিক স্বাস্থ্য’ ও ‘মুসলমান : এ নেশন অব দ্য বুক, আলোর ফেরিওয়ালা’ এগুলো অন্যতম। ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সমসাময়িক বিষয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তিন শতাধিক ফিচার, প্রবন্ধ ও কলাম লিখেছেন। লন্ডন ভিত্তিক বাংলা-ইংরেজি দ্বি-ভাষিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ইউরোবাংলা’র তিনি একজন নিয়মিত কলামিষ্ট ছিলেন।