আমরা কোন একটি মুহূর্তে বা পরিস্থিতিতে কি কি আবেগ অনুভব করছি এবং কেন করছি সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া, সেই আবেগগুলো আমাদেরকে, অপরকে ও অপরের সাথে আমাদের সম্পর্কগুলোকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বুঝতে পেরে নিজের উন্নতি এবং অপরের সাথে সম্পর্কের উন্নতির জন্য আবেগগুলো প্রকাশের ওপর সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও সংযমের মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজের কাজকর্ম ও আচার-আচরণকে পরিচালনা করার প্রক্রিয়াটিকে ‘ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স’ বলে। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এমন একটা বিষয় যা মানুষের মন ও তার কাজকর্মের ওপর তার আবেগের প্রভাবকে বিশ্লেষণ করে। সেই মানুষটার সাথে অন্যান্য মানুষের যে সম্পর্ক রয়েছে সেই সম্পর্কগুলোর ওপর এই আবেগগুলো কি কি প্রতিক্রিয়া করছে, সেই বিষয়গুলোও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত- কারন এই দুইয়ে মিলেই একজন মানুষের ভাল থাকা এবং তার উন্নতি নির্ধারন করে। আমি যদি আমার বন্ধুর উদাহরণ টেনে আনি, সেই যে মাস্টার্স পরীক্ষার আগে যার সাথে ঝগড়া করেছিলাম- সেদিন আমার রাগের বহিঃপ্রকাশ এমন হয়েছিল যে আমার বন্ধুটার সাথে হয়ত আমার বন্ধুত্ব নষ্টও হয়ে যেতে পারতো। সে হয়ত আমাকে আর সাহায্য করত না। এমনটা কিন্তু সত্যিই হতে পারতো। অর্থাৎ আমার ক্ষতিকারক আবেগের ফলে নিজেরই ক্ষতি হতে পারতো। আবার যখন বন্ধুর কাছে নমনীয় হয়ে ক্ষমা চাইলাম, তখন সে আমার বিশাল এক উপকার করল, অর্থাৎ আমার ভাল আবেগটির ফলে আমার সম্পর্কের উন্নতি হল। আমি লাভবান হলাম। আমরা কোন একটি মুহূর্তে বা পরিস্থিতিতে কি কি আবেগ অনুভব করছি এবং কেন করছি সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া, সেই আবেগগুলো আমাদেরকে, অপরকে ও অপরের সাথে আমাদের সম্পর্কগুলোকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বুঝতে পেরে নিজের উন্নতি এবং অপরের সাথে সম্পর্কের উন্নতির জন্য আবেগগুলো প্রকাশের ওপর সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও সংযমের মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজের কাজকর্ম ও আচার-আচরণকে পরিচালনা করার প্রক্রিয়াটিকে ‘ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স’ বলে। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এমন একটা বিষয় যা মানুষের মন ও তার কাজকর্মের ওপর তার আবেগের প্রভাবকে বিশ্লেষণ করে। সেই মানুষটার সাথে অন্যান্য মানুষের যে সম্পর্ক রয়েছে সেই সম্পর্কগুলোর ওপর এই আবেগগুলো কি কি প্রতিক্রিয়া করছে, সেই বিষয়গুলোও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত- কারন এই দুইয়ে মিলেই একজন মানুষের ভাল থাকা এবং তার উন্নতি নির্ধারন করে। আমি যদি আমার বন্ধুর উদাহরণ টেনে আনি, সেই যে মাস্টার্স পরীক্ষার আগে যার সাথে ঝগড়া করেছিলাম- সেদিন আমার রাগের বহিঃপ্রকাশ এমন হয়েছিল যে আমার বন্ধুটার সাথে হয়ত আমার বন্ধুত্ব নষ্টও হয়ে যেতে পারতো। সে হয়ত আমাকে আর সাহায্য করত না। এমনটা কিন্তু সত্যিই হতে পারতো। অর্থাৎ আমার ক্ষতিকারক আবেগের ফলে নিজেরই ক্ষতি হতে পারতো। আবার যখন বন্ধুর কাছে নমনীয় হয়ে ক্ষমা চাইলাম, তখন সে আমার বিশাল এক উপকার করল, অর্থাৎ আমার ভাল আবেগটির ফলে আমার সম্পর্কের উন্নতি হল। আমি লাভবান হলাম।
রুশদিনা খান বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টরে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম। 17 বছর বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষঠানে মানব সম্পদ ও ট্রেনিং বিভাগে ফুল টাইম চাকরির সাথে সাথে গত 12 বছর যাবত উনি ফ্রি-লান্স ট্রেনার হিসেবে কাজ করে এসেছেন এবং বর্তমানে গ্রথাহলিক্স-এর প্রতিশ্ট্হাতা ও CEO. ট্রেনিং-এ তার expertise মূলত ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স এবং কমিউনিকেশন স্কিল্স নিয়ে। উনি ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স-এর উপর আন্তর্জাতিকভাবে ট্রেনিং-সনদ প্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশে ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স নিয়ে প্রচুর ট্রেনিং করিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়টিকে মানুষের মাঝে জনপ্রিয় ও প্রচলিত করার উদ্দ্যেশ্যে উনি "Emotional Intelligence-খুলে দেয় সম্ভাবনার দ্বার" নামের একটি দারুন বই লিখেছেন, যেটি বাংলায় লেখা এই বিষয়ের ওপর প্রথম বই।