প্রশান্ত মহাসাগরের জলরাশির ভিতর থেকে উদিত হয়ে সূর্যের এই দেশটির পূর্ব থেকে পশ্চিম সীমান্তে পাড়ি দিতে লাগে প্রায় এগারাে ঘণ্টা। এই যাত্রাপথে সূর্য দেখে দেখে যায় সব উচু-উচু পর্বত, নিঃসীম সমতলভূমি, ভরা শস্যক্ষেত্র আর বিপুলা নদী। যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর প্রসারিত বন। উত্তরে সব নিঃসীম বরফক্ষেত্র, আর দক্ষিণে সব হাসিখুশি সাগর এবং মন্দোষ্ণ জমকানির উপর দিয়ে সূর্য পার হয়ে যায়। সে-দেশ সােভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ইউনিয়ন সংক্ষেপে সােভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ। এ দেশের বাসিন্দা প্রায় ২৪ কোটি মানুষ এক-শ’টার বেশি ভাষায় কথা বলে। সােভিয়েত ইউনিয়ন বিখ্যাত—সেটা তার বিরাট আয়তন আর সম্পদের জন্যেই শুধু নয়। সােভিয়েত ইউনিয়ন নতুন দুনিয়ার জন্মভূমি-সে দুনিয়ার নেই মানুষের উপর মানুষের শােষণ, সেখানে সমস্ত নাগরিকের রাজনীতিক আর জাতিগত সমতাই জীবনে সবার উপরকার নিয়ম। সমস্ত ক্ষমতা আর সমস্ত সম্পদের স্রষ্টা শ্রমজীবী জনগণই সেখানে সেই সবকিছুই মালিক-পৃথিবীর ইতিহাসে এমন প্রথম রাষ্ট্র হল সােভিয়েত ইউনিয়ন-সে-দেশে সমাজতন্ত্র গড়ার কাজ সমাধা হয়ে গেছে, এখন চলছে কমিউনিস্ট সমাজ গড়ার কাজ।সােভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস তার অতীত আর বর্তমান আর নতুন জীবন গড়ায় সােভিয়েত অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে এই বইখানি।