অজপাড়াগাঁয় জন্মগ্রহণ করেও শৈশব থেকে স্বদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ও সীমাহীন মমত্ববোধের কারণেই শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেছিলেন গণমানুষের নেতা; বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা। আপামর জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন ও ভরসার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পরও তাঁর মধ্যে কোনো অহংকারবোধ ছিল না। নিঃসংকোচে সাধারণ মানুষকে তিনি সব সময়, সব জায়গায় বুকে টেনে নিতে পারতেন। আজীবন তাঁর রাজনীতির মৌল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলার মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। মানুষের জন্য তাঁর মন। কাদামাটির মতো নরম হলেও তাদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে, স্বদেশের স্বার্থে, নীতি ও দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে সব সময়ই ছিলেন পর্বতের মতো অটল। সত্য, ন্যায় ও অন্যায়ের প্রতিবাদে তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল আপসহীন, উচ্চকিত। এ গ্রন্থের দশটি গল্পে, ইতিহাস ও কল্পনার অবিমিশ্রণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই অন্তর্গত সত্ত্বারই রূপায়ণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অভিনব ঘটনা এবং তাঁর প্রতি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত, সুগভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন ‘হৃদয়ে অঙ্কিত মুখ’।
সমীর আহমেদ : ঢাকা জেলার দোহার। উপজেলায় ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি কৃষক পরিবারে তার জন্ম। বাবা চান বেপারী এবং মা হাজেরা বেগম; উভয়েই প্রয়াত। গ্রামের স্কুল ও কলেজে পড়াশােনা। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। বর্তমানে সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, গবেষণা ও সম্পাদনাসহ প্রকাশিত গ্রন্থ ১৯টি। প্রথম উপন্যাস ‘মরা কটালের জোছনা’র জন্য অধুনালুপ্ত আজকের কাগজ সাহিত্য পুরস্কার অর্জন। ছােটগল্পের জন্য দেশের বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। চিন্তাভাবনায় সতত প্রগতিশীল। তিনি মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা আমাদের অস্তিত্বের অংশ। জাতিসত্ত্বার পরিচয়। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয়; মানবিকতাই উত্তম ধর্ম।