ব্রাত্য আমি মন্ত্রহীন অংশুপট উপাখ্যান (হার্ডকভার)

ব্রাত্য আমি মন্ত্রহীন নাটকটি এমন এক সময়ে প্রনয়ণ করছেন সাধনা আহমেদ-যখন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও ধর্মীয় মৌলবাদের উথান বিশ্বব্যাপি।এতে তিনি সন্ধান করেছেন এমন মানুষের-যে ধর্মীয় বিধিবিধানের অনুগত নয়।সামজিক রীতি ও প্রথার দাস নয়।কোন সে মানুষ ? নাট্যকার বলেছেন ‘মনের মানুষ’।দেখিয়েছেন-প্রেম ছাড়া এই মানুষকে পাওয়া যায় না।অতীতের সঙ্গে সমকালীন বাস্তবতার সংযো্গ ঘটিয়ে নাটকটিতে সেই চিরসত্যের সন্ধান করা হয়েছে-যার মর্মে সর্বমানবের কল্যাণবার্তা ধ্বনিত।রবীন্দ্রনাথ ও লালনের মাঝখানে বোষ্টমিকে রেখে তিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক মুক্তির পথ খুঁজতে চেয়েছেন। শিলাদহ-পতিসর অঞ্চলের তন্তুবায় ও কৃষিজীবিদের জীবনধারা-প্রেম অপ্রাপ্তি-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে পল্লবিত হয়েছে অংশুপট উপাখ্যান নাটকের প্রতিপাদ্য।পৃথিবীজুড়ে যুগে যুগে মালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীর শোষণের শিকার হচ্ছে উৎপাদক শ্রেণী ।এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আকাঙ্ক্ষায় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়-যদিও কোনো পরিবর্তন থেকে উত্তরণের আকাঙ্ক্ষায় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়-যদিও কোনো পরিবর্তন ঘটে না শেষপর‌্যন্ত।কিন্তু সাধনা আহমেদ এই নাটকে দেখিয়েছেন কাম্য বিপ্লবের স্বপ্ন।এরই শিল্পরূপ অংশপুট উপাখ্যান ।আমাদের সমকালীন বাংলা নাটকে যে ক’জনের অবদান শিরোধার‌্য-সাধনা আহমেদ তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য।