বিভোরে ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটির শরীর ছুয়ে পৃথিবীর সমস্ত সুখ লুটে নিতে ইচ্ছে করছে, তার কাছে আসতে ইচ্ছে করছে, তাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে-কতকিছু ভাবে আদি। বিয়ে নামক বন্ধনে মেয়েটিকে আবদ্ধ করা হয়েছে। নিহা এখন আদির স্ত্রী। আদি চাইলে তার অপেক্ষিত ২৮ বছরের বিতৃষ্ণ শরীরের ক্ষুধা মেটাতে পারে। ইচ্ছে হলে তার কোমল শরীরটা হিংস্র জানোয়ারেরর মত ছিঁড়ে খেতে পারে। হিংস্রতা পশুর স্বভাব। মানুষকে তো বৃক্ষ হতে হয়। বৃক্ষের মত স্থির আর অপেক্ষমান। আদি জানে, সে যা খুশি করুক না কেন মেয়েটা কিছুই বলতে পারবে না। মেয়েটাকে কেনা হয়েছে কবুল কবুল কবুল নামক তিন শব্দে, কেবলই তার শরীর কেনা হয়েছে। এখনো তার মন কেনা হয়নি। যার শীরর কেনা যায় একসময় তার মনও কেনা যায়। শরীর ছুলেই মন ছোঁয়া যায়। 'শরীর ছুলে মন ছোঁয়া যায়' এই তথ্যটা বোধহয় ভুল। শরীর ছুলে যদি মন ছোঁয়া যেত তাহলে পতিতালয় কে ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দু করা হতো। কিন্তু এমন টা হয়নি, পতিতালয় যৌনতা মিটিয়েছে। সুক্ষ হৃদয় স্পর্শী ভালবাসা কেবল মানুষকে অপেক্ষা করতে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে বৃক্ষের মত স্থায়ী আর অপেক্ষমান হতে, বৃক্ষের দীর্ঘ প্রতীক্ষায় যেমন একদিন ফুল ফুটে কুড়ি জন্মায় কুড়ি থেকে ফল হয়। অপেক্ষমান ভালবাসায়ও একদিন ফুল ফোটে কুড়ি জন্মায় অতঃপর কুড়ি থেকে ফল হয়। সেই অপেক্ষিত ভালবাসার ফল সুমিষ্ট হয়। নিহা তার বিয়ে করা বউ। নীহা শুধু গভীর রাতের অধিকার নয়, নিহা তার দায়িত্ব, কর্তব্য আর আদি কখনো তার কর্তব্যের প্রতি অবহেলা করেনি। আগে আদি নিহার মন ছুবে, তারপর শরীর। শরীর ছুঁতে তো সবাই পার, মন ছুঁতে বা কজন জানে!