এখানে আশেক ঐ ব্যক্তি যিনি জ্ঞান ও শিক্ষা অর্জনের নেশায় মত্ত । যিনি জীবনের সুখ খুঁজে পান জ্ঞানের বাঁকে বাঁকে । প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের যিনি পাগলের মতো ভালোবাসেন ; তাদের থেকে শিক্ষা গ্রহন করেন । যিনি পড়তে ও পড়াতে বিশ্বের আনাচে কানাচে থেকে মনিমুক্তা খুঁজে নিয়ে নিজের করে নিতে । তিনি আশেক তার মুছান্নিফদের জীবন ও জ্ঞানের উচ্চতায় । কোনো মুসলিম মনীষীর জীবনের সচিএ বাস্তব অভিজ্ঞতা জীবনের বাকেঝাকে নানা ঘটনা অনুঘটনা ,ব্যক্তিজীবন,সমাজ জীবন সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহ ও গোটা বিশ্বকে নিয়ে তার চিন্তা দর্শন এর প্রতিটিই আমাদের জীবন পথের অনন্য পাথেয় । স্বয়ং মনীষীর হাত ধরেই যদি এ বিষয়গুলো উঠে আসে,তবে তো আমাদের জন্য তা অমূল্য রতন । প্রবীন বিজ্ঞজন অনেক সিদ্বান্ত প্রদান করেন সুদূর ভবিষ্যৎকে সামনে রেখে । অতীতের অনেক ঘটনার অনেক ঘটনার অভিজ্ঞতার আলোকে । বর্তমানে তরুন যুবকদের সামনে অতীতও থাকে না; ভবিষ্যৎ থাকে না । তরুনদের সামনে থাকে জ্বলজ্বলে বর্তমান । তাই নবীন প্রবীনদের মাঝে সমন্বয়ের বিকল্প নেই । এই বইটি সেই বিজ্ঞ মনীষীর শিক্ষা গ্রহনের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ন । তার সম্পর্কে এবং তার শিক্ষাগুরু ইত্যাদি বিষয়ের শিক্ষনীয় উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি যেমনিভাবে নতুনদের কাছে প্রবীন বিজ্ঞদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তেমনিভাবে প্রবীন নবীনদের সাথে সম্পকের সমন্বয় তৈরি করেছেন । বইটিতে লেখকের জীবনের অভিজ্ঞতা অধ্যয়ণ,পৃথিবীর নানা প্রান্তে সফর,বহু জ্ঞানী গুনী কবি সাহিত্যিক বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞজনদের থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের ছিন্নভিন্ন বৈচিএময় নানা উপকরনের সন্ধান আপনাকে দেবে। এটি এমন একটি বই যার থেকে আপনি বন্জিত হবেন না । জ্ঞান অভিজ্ঞতার এবং শিক্ষা উপকরনের নানা বিষয় নিয়ে লেখক তার নিজের শিক্ষা অর্জনের উপায় ও মাধ্যমে বর্ননা করেছেন একজন শিক্ষানুরাগি হিসেবে । জ্ঞানের একজন আশেক হিসেবে ।
Dr. Ayez Al Karni ১৩৭৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন্ অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত অধ্যায়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়। ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আত-তাফসীরুল মুয়াসসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্য লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তাঁর বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে গেছে।