“১৯৭১ তাজউদ্দীন মুজিববাহিনী ও অন্যান্য" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ১৯৭১ সাল। ৮ মাস ২১ দিন, মােট ২৬৬ দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে চূড়ান্ত সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের এই সময়টি খুব দীর্ঘ নয়। তারপরও এই অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলার মাটিতে নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে পাক বাহিনী। শুরুতে তাদের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৭২ ঘন্টায় সীমাহীন হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাঙালি জাতিকে চিরতরে পদানত করা। যে লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত, ভয়ঙ্কর গণহত্যা। ১ মার্চ গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত করলে উত্তাল গণজোয়ার সৃষ্টি হয় বাংলার শহর-বন্দর-গ্রামে। আলােচনার নামে প্রহসন চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের নীল নকশা এগিয়ে নেয় পাক সেনা কর্তৃপক্ষ। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে শুরু হয় অপারেশন সার্চ লাইট। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৭ এপ্রিল শপথ নেয় মুজিবনগর সরকার। ১১টি সেক্টরে ভাগ হয়ে যুদ্ধ জয়ের অভিযান শুরু হয়। রুমি-বদি-আজাদেরা দৃপ্ত শপথে মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে প্রাণপণ যুদ্ধে। সময় যতই গড়িয়েছে যুদ্ধ ততই গতি পেয়েছে। বাংলাদেশের যুদ্ধদিনের প্রধান আশ্রয় শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি পুরাে পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন আদায়ে। যদিও নিজ তাতে কর্ণপাত করেনি। মাও-সে-তুং এর চীনও ছিল নিশ্রুপ। মুসলিম বিশ্বও তখন পাকিস্তানিদের পক্ষে। ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করার পর শুরু হয় চূড়ান্ত যুদ্ধ। মাত্র ১৩ দিনের সর্বাত্মক যুদ্ধে অনেকটা বিনা প্রতিরােধে আত্মসমর্পণ করে নিয়াজী বাহিনী। বইটিতে এই ঘটনা প্রবাহ উঠে এসেছে ভিন্ন মাত্রায়। ভিন্ন পরিসরে। যা পাঠককে নিয়ে যাবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ দিনে।