সময় এগিয়ে চলেছে পরিবর্তনের হাত ধরে, কাল থেকে মহাকালে তার যাত্রা। সময়ের কলেবরে বেড়ে ওঠে কতো সৃষ্টির নন্দন দৃশ্যকল্প, আবার ধ্বংস হয়ে যায় কতো সভ্যতা। সৃষ্টি আর ধ্বংসের মাঝামাঝি স্থানে জায়গা করে নেয় কিছু লেখনি শিল্প সাহিত্য। মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো ডালপালা মেলে পাঠক মননে গ্রোথিত হয় সুবিশাল মহীরুহ হিসেবে। মানব প্রেম ও প্রকৃতি প্রেম সাহিত্যের অন্যতম প্রধান অনুসংগ। কবি সাহিত্যিকেরা প্রবন্ধে গল্প উপন্যাসে কবিতায় তা ফুটিয়ে তোলেন একান্ত স্বকীয়তায়। এ ক্ষেত্রে একেকজন একেক ধারার ধারক হয়ে ওঠেন। আমরা কবি নার্গিস পারভীনকে একজন প্রেমময়ী কবি হিসেবে তার কবিতায় খুঁজে পাই। প্রেমের খাঁটি সোনা হলো বিরহ- কবি তার কবিতার পরতে পরতে প্রেমের নির্যাস খুজে ফিরেছেন বিরহ বারতায়। তিনি আঁধারের মাঝে আলোর সন্ধান করে যান সব সময়। মহাকালের ডাকে আমাদেরকে যেতে হবে একদিন ফিরে অনন্তকালের যাত্রায়। তা কোনদিন কেউ রুখতে পারেনি, পারে না, পারবে না- কবি সেকথাও মনে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন। তাইতো মানব প্রেম প্রকৃতই সৃষ্টিকর্তার প্রেমের নামান্তর। কবি তার কবিতায় মানব মানবীর প্রেমকে তাই খুবই গুরুত্ববাহী হিসেবে এঁকেছেন কাব্যের রংতুলিতে। কবির কবিতাগুলো পাঠ করলে পাঠকমনন এক নতুন কাব্যস্বত্বাধিকারীকে পেয়ে যাবেন অনায়াসেই।