"ড্রেসডেন ফাইলস: সামার নাইট" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: আকাশ থেকে বৃষ্টির মতাে একের পর এক ঝরে পড়ছে ব্যাঙ। পুরােদমে যুদ্ধ শুরু। হয়ে গেছে জাদুকর আর ভ্যাম্পায়ারদের মধ্যে। হ্যারিকে খুন করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে ভ্যাম্পায়াররা। শহরে এসেছে জাদুকরদের সবচেয়ে বড় সংগঠন দ্য হােয়াইট কাউন্সিল। শুধু তারাই নয়, নেভারনেভার ছেড়ে শহরে চলে এসেছে ফেইরিদের রাণীরাও। খুন হয়েছে ফেইরিদের সামার নাইট। এই খুনকে ঘিরে যুদ্ধে জড়াতে। যাচ্ছে সামার কোর্ট আর উইন্টার কোর্ট। স্বয়ং উইন্টার কোর্টের রাণী এসেছে হ্যারির কাছে এই খুনের তদন্ত ভার অর্পণ করতে। যদি এ যুদ্ধ থামানাে না যায় তাহলে। হয়তাে পৃথিবীতে আবারও নেমে আসবে তুষার যুগ। হােয়াইট কাউন্সিল, সামার কোর্ট, উইন্টার কোর্ট, রেড কোর্ট সবার দৃষ্টি এখন একজন মানুষের ওপর-জাদুকর হ্যারি ব্ল্যাকস্টোন কপারফিল্ড ড্রেসডেন। প্রতিটি ক্ষণে কেবল বিপদ বেড়ে চলেছে, ঘনিয়ে আসছে সময়। হ্যারি কি পারবে এই বিপদ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে? জিম বুচারের জনপ্রিয় সিরিজ ড্রেসডেন ফাইন্স-এর চতুর্থ আখ্যান সামার নাইট পাঠককে আবারাে নিয়ে যাবে হ্যারি ড্রেসডেনের জাদুময় অদ্ভুত এক জগতে।
ড্রেসডেন ফাইলের স্রষ্টা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত জিম বুচার ১৯৭১ সালে। আমেরিকার মিসৌরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে অসুখের সময় তার বােন তাকে দ্য লর্ড অব দি রিং এবং দ্য হান সােলাে অ্যাডভেঞ্চার্স উপন্যাস দু'টো পড়তে দেয় সময় কাটানাের জন্য। সেই থেকে ফ্যান্টাসি আর সায়েন্স ফিকশনের প্রতি আগ্রহ জন্মে তার। টিনএজ বয়সেই নিজের প্রথম উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি, ঠিক করেছিলেন লেখক হবেন। দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারার ফ্যান্টাসি লেখা লিখে প্রকাশকদের মনযােগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে লিখে ফেলেন হ্যারি ড্রেসডেন নামক 'এক জাদুকরের কাহিনী নিয়ে ড্রেসডেন। ফাইল সিরিজের প্রথম বইটি আধুনিককালের শিকাগাে শহরের 'পটভূমিতে লেখা বইটি দারুণ জনপ্রিয়তাই শুধু পায়নি, সেই সঙ্গে জিম বুচারকে দিয়েছে প্রবল জনপ্রিয়তা। নিয়মিতভাবেই তিনি লিখে যাচ্ছেন। ড্রেসডেন ফাইন্সের একের পর এক সিকুয়েল। বর্তমানে তিনি নিজ শহর মিসৌরিতে স্ত্রী আর এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন।