"কিশোর থ্রিলার অয়ন জিমি ভলিউম ১" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ প্রাসাদবাড়ির রহস্য সদ্যপ্রয়াত এক পাগলাটে পরিচালকের উইলে পাওয়া গেছে অদ্ভুত এক ধাধা, ভেদ করতে পারলে মিলবে গুপ্তধন। তাই বান্ধবী রিয়াকে নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে প্রাচীন এক প্রাসাদবাড়িতে ঢুকল অয়ন জিমি। আধপাগল কেয়ারটেকার আর লােভী আত্মীয়ের দল ভিড় জমিয়েছে ওখানে। রয়েছে অদৃশ্য এক প্রতিপক্ষও। বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলল প্রাসাদবাড়ির আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে থাকা এক মৃত দাসী! তারপর? বিপদের ছয়টি আঙুল অদ্ভুত একটা হাতমােজা কুড়িয়ে পেল অয়ন আর জিমি-পাঁচটার জায়গায় সেটার ছটা আঙুল! কৌতূহলের বশে মালিকের খোঁজে বেরুতেই পড়ে গেল মহাবিপদে। প্রথমে এল হুমকি, তারপর আক্রমণ। কেউ একজন চাইছে না মানুষটাকে ওরা খুঁজে বের করুক। কারণটা কী? রােখ চেপে গেল দু’বন্ধুর, রহস্যটা ভেদ করে ছাড়বে। কিন্তু শেষ মুহুর্তে একটা হারানাে মুকুট যে পুরাে ব্যাপারটাকে এভাবে জট পাকিয়ে তুলবে, সেটা তদন্ত শুরুর সময় কল্পনাও করতে পারেনি ওরা! পাথরপিশাচ চমকে উঠলেন বৃদ্ধ হিউমিচাম। তার পাশের বাড়ির ব্যালকনিতে জ্যান্ত হয়ে উঠেছে একটা পাথরের তৈরি পিশাচমূর্তি! টিকটিকির মত ওঠানামা করছে দেয়াল বেয়ে! অবিশ্বাস্য! তদন্ত করতে গেল অয়ন, জিমি আর রিয়া। আঁতকে উঠল রাতদুপুরে জানালায় গারগয়েলের মুখ দেখে। শুরু হয়ে গেল একের পর এক রহস্যময় কাণ্ড। কে ঘটাচ্ছে এসব? কেন?
ইসমাইল আরমান, জন্ম ১৯৭৬ সালে, ফেনীতে। লেখাপড়া করেছেন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে। লেখালেখি তাঁর ধ্যান-জ্ঞান ও নেশা। ছেলেবেলা থেকেই জড়িত লেখালেখির সঙ্গে। প্রথম বইটি যখন সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায়, তখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র। এর পর থেকে লিখে চলেছেন নিয়মিত। ছোটদের জন্য লিখেছেন অয়ন-জিমি সিরিজের গল্প-উপন্যাস, করেছেন অজস্র অনুবাদ, ছায়ালেখক হিসেবে লিখেছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সিরিজের বেশ কিছু বই, সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েকটি বই। প্রথম আলো, কিশোর আলো, রহস্য পত্রিকা, কিশোর পত্রিকা , কালের কণ্ঠ সহ দেশের বিভিন্ন পত্রিকাতেও প্রচুর লেখা ছাপা হয়েছে তাঁর। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭০-এর অধিক। পেশাগত জীবনে সরকারি চাকরি করছেন। অবসর কাটে বই পড়ে, গান শুনে আর ছবি দেখে। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার।